কুমারী দুগ্গার সঙ্গে সেলফি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে তার পুজো করা হয়। আবার সপ্রাণ মানব মানবীকেও দেব দেবী জ্ঞানে পুজোর রীতি বহু কাল ধরেই চলে আসছে। এ দেশের কোনও কোনও ধর্মাচরণে তো ঈশ্বরের বাস মানবদেহেই। দেহ মন্দিরের বাইরে অন্য কোনও মন্দিরের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না অনেকে।
কুমারী পুজো হল দেহ মন্দিরে বাস করা শুদ্ধাত্মার পুজো। প্রকৃতি পুজোর এই রূপেরও কিছু নিয়ম কানুন আছে। কুমারী অর্থাত্ অরজঃস্বলা প্রকৃতি পুজোই বিধান। তাকেই পুজো করা হয় মাতৃজ্ঞানে। কুমারী মেয়ের বিশুদ্ধতাই তাকে দেবীর সমান আসনে বসার বিধান দেয়।
তা ছাড়া যে উমা বাপের ঘর ছেড়ে শিবের ঘরণি হয়েছিল, তার বিয়ের আগের কুমারী রূপ কি ভুলে যেতে পারে মর্ত্যের আত্মীয়রা! দেবীর বছর বছর ফিরে আসার দিনে এক দিন সেই কুমারী পার্বতীকেও স্মরণ করা যেন।
১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর প্রচলন করেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেই থেকে চলে আসছে এই প্রথা। আজকের মহাষ্টমীতেও কুমারী পুজোর সাক্ষী থাকতে ভিড় উপচে পড়েছিল বেলুড়ে। এ বার কুমারী দেবী রূপে পুজো করা হল হাওড়া পঞ্চাননতলার রাজা চট্টোপাধ্যায়ের পাঁচ বছরের মেয়ে ঐশানীকে।
আরও পড়ুন- কে বলল পুজোর জমকে শুধু কলকাতাই চমকায়!
আরও পড়ুন- বাঙালির দুর্গাপুজো, নতুন রূপে নতুন সাজে
আরও পড়ুন- প্রবাসেও পুজোর দেশে বাঙালির আনন্দভুবন