কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো। অষ্টমীর সকালে সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা।
ব্রিটিশ আমলের গোড়ার দিক থেকেই, বিশেষত নব্যবাবুদের হাত ধরে শারদীয়া দুর্গাপুজো বাড়তে শুরু করে বাংলায়। কলকাতাতেই বেশি। কে কত বড় করে, কত টাকা উড়িয়ে, কত বাজি পুড়িয়ে, কত দম্ভ গুঁড়িয়ে পুজো করতে পারেন এই ছিল প্রতিযোগিতা। আস্তে আস্তে এই বাড়ি পুজোর গণ্ডি ছাড়িয়ে ১২ ইয়ারি পুজোরও চলন হয় কলকাতায়। ১২ ইয়ারদোস্ত বা বন্ধুবান্ধব মিলে এই পুজোর নামই পরে বারোয়ারিতে বদলে যায়।
এই জমিদারি অকালবোধন এবং ১২ ইয়ারি পুজো খুব দ্রুত ছড়াতে শুরু করে জেলাগুলোতেও। ক্রমে অনেক জেলাই দুর্গাপুজোতে রীতিমতো টেক্কা নিতে শুরু করে কলকাতাকে। কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই জাঁকজমকে, বৈভবে, বৈচিত্রে, বহরে বেড়েছে জেলার পুজোও। কলকাতায় থিম পুজোর হিড়িক শুরু হতে না হতে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলা থেকে জেলায়। এ বারও থিমে মেতেছে হাওড়া থেকে মেদিনীপুর, বর্ধমান থেকে বনগাঁ, শিলিগুড়ি থেকে কৃষ্ণনগর। কোথাও রক্তমাংসের অভিনেতা অভিনেত্রী দিয়ে সেজে উঠেছে আস্ত সিঙ্গুর। কোথাও বাঁটুল, নন্টে ফন্টে, বেতাল, ম্যানড্রেকের অদ্বিতীয় জগত্। যাঁরা নিজে গিয়ে দেখে আসতে পারলেন না, ছবিতে দেখে নিন সেই অপার বৈচিত্র। বাংলার পুজোর মুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy