Babul Supriyo

বাবুল-রায় নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত মহুয়ার

মহুয়া আপাতত বিদেশে। আগামী শনিবার তাঁর দেশে ফেরার কথা। তার পরেই তিনি তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ১২:০৮
Share:

আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ফাইল চিত্র।

তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেই পরামর্শের উপর নির্ভর করছে, তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন কি না। মহুয়া আপাতত বিদেশে। আগামী শনিবার তাঁর দেশে ফেরার কথা। তার পরেই তিনি তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। হাইকোর্টের রায় নিয়ে এখনই মুখ খুলছেন না কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।

Advertisement

বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট তাদের রায়ে বাবুলের বিরুদ্ধে মহুয়ার তোলা যাবতীয় ফৌজদারি অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু পাশাপাশিই বলেছে, বাবুল যে মন্তব্য করেছিলেন, তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারা অনুযায়ী ‘অবমাননাকর’। বাবুলের মন্তব্য সম্পর্কে আদালত তাদের রায়ে আরও বলেছে, প্রাথমিক ভাবে ওই মন্তব্যে এক মহিলার সম্মান এবং মর্যাদাহানি হয়েছে। এরই পাশাপাশি রায়ে বলা হয়েছে, মহুয়া চাইলে এর পরেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন এবং উপযুক্ত জায়গায় তাঁর অভিযোগ জানাতে পারেন। এই পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বিষয়টি মহুয়া শিবির গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে বলে খবর। তবে ওই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, বাবুল-মহুয়ার মধ্যে গোলমালের সূত্রপাত একটি টিভি চ্যানেলের টক-শো থেকে। সেখানে বিতর্কের মাঝে বাবুল মহুয়াকে বলেছিলেন, ‘‘মহুয়া, আর ইউ অন মহুয়া?’’ অর্থা!, মহুয়া কি মহুয়ায় আছেন? অস্যার্থ, মহুয়া কি মহুয়া পান করে বিতর্কে যোগ দিতে এসেছেন? এমনিতে মহুয়া উত্তেজক পানীয় হিসেবেই পরিচিত। বাবুলের মন্তব্যে ক্রুদ্ধ মহুয়া অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর মর্যাদাহানি করেছেন। বাবুলের তরফে যদিও বলা হয়েছিল, তিনি খানিকটা ‘লঘুসুরে’ই বিষয়টি বলেছিলেন। কিন্তু মহুয়া বাবুলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন। সেখান থেকেই মামলার সূত্রপাত। বাবুল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ‘মহিলার মর্যাদাহানি’ ঘটানোর অভিযোগ খারিজ করার আর্জি জানান। বুধবার তাঁর আর্জি অনুমোদন করেছে আদালত। যার ফলে উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির।

Advertisement

তবে মহুয়া শিবিরের বক্তব্য, আদালত বাবুলের আর্জি মেনে নিয়েছে নেহাতই আইনি এবং ‘টেকনিক্যাল’ কারণে। নচেৎ, তারা রায়ের সঙ্গে ‘পর্যবেক্ষণে’ বলত না, বাবুল যে মন্তব্য করেছিলেন, তা ‘মহিলাদের পক্ষে অবমাননাকর’। এখন দেখার, ওই পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে মহুয়া শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কি না।

আরও পড়ুন: বেতনে সমতা এনে সংস্কারের সুপারিশ ষষ্ঠ বেতন কমিশনের

আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ সামলাতে ডাক্তারদের আবেদন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন