ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ক্যাডারে একই পদের স্কেল বা বেতনক্রম ভিন্ন ভিন্ন বলে কর্মচারী সংগঠনগুলির অনুযোগ দীর্ঘদিনের। সেগুলির মধ্যে সমতা আনার সুপারিশ করে দ্বিতীয় দফার রিপোর্ট পেশ করেছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন। সরকারি ও সরকারের অধীন সংস্থার কর্মীদের ‘সার্ভিস ম্যাটার’ বা চাকরির শর্তাবলি খতিয়ে দেখে বিভিন্ন সংস্কারের সুপারিশ করেছে তারা।
নিয়োগের ক্ষেত্রেও অভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে কমিশন বলেছে, একই কাজে যোগ্যতামান ও নিয়োগের পদ্ধতি যাতে এক রকম হয়, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অনেক দফতর বা বিভাগের কোনও কোনও স্তরে পদোন্নতির সুযোগ কম। সেই সব ক্ষেত্রেও সমতা আনার সুপারিশ করা হয়েছে। বিভিন্ন দফতরের শূন্য পদ নিয়ে কমিশনের প্রস্তাব: পদগুলির আদৌ দরকার আছে কি না, অন্য কাজে সেগুলি ব্যবহার করা যায় কি না— তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এই সব বিষয়ে তিন বছর ধরে সরকারের সব দফতর এবং কর্মচারী সংগঠনগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে কমিশন। সেই সব আলোচনার ভিত্তিতেই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার বলেন, “বেতন কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্টের সুপারিশ কতটা গ্রহণ করা হবে, সেটা সরকার দেখবে। তবে এই সুপারিশে কর্মীদের চাকরির শর্ত আরও মজবুত হবে।”
কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “সম কাজে সম বেতন, নিয়োগ পদ্ধতি এবং শূন্য পদ নিয়ে আমরা দাবি পেশ করেছিলাম। বাম আমলের পঞ্চম বেতন কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্ট বর্তমান সরকার রূপায়ণ করেনি। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে তা বাস্তবায়িত করার দাবি জানাচ্ছি।” রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহের বক্তব্য, ঐতিহ্য মেনে এই রিপোর্টের সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন ক্যাডারে কর্মচারী সংগঠনগুলির সঙ্গে সরকারের কথা বলা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy