দুনিয়ার চোখে বন্দুকবাজ মৈনাক কিন্তু পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে আজও ‘বুড়ো’। বুড়ো ছিল তাঁর ডাকনাম। বন্দুকবাজের তকমা পাওয়ার আগে পর্যন্তও দুর্গাপুরের বিধাননগরের অনেকেই তাঁকে এই নামে চিনতেন। আর দিদি সৌমিকে তিনি আদর করে ডাকতেন ‘বুড়ি’ বলে। দুর্গাপুর বিধাননগরের এই কলোনিতেই কেটেছিল তাঁর ছেলেবেলা। বাবা সত্যেন সরকার একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। বিধাননগরের সরকারি কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন মৈনাক। আইআইটি খড়্গপুর থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন মৈনাক। আর দিদি সৌমি যাদবপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। সেখান থেকেই ২০০৫ সালে মৈনাক চলে যান স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এরোনটিক্স ও অ্যাস্ট্রোনটিক্সে স্নাতকোত্তরের জন্য। ২০০৪ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছেন ওহায়োর একটি সংস্থায়। ভাইয়ের মতো সৌমিও পড়াশোনা শেষে পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়। কিন্তু বেশি দিন থাকেননি। বিয়ে করে তিনি এখন কলকাতায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
আমেরিকার বন্দুকবাজ বাঙালি মৈনাক সরকার
অমিল বিস্তর, কিন্তু মৈনাক মনে পড়িয়ে দিল সিদ্ধার্থকে
ছেলেমেয়ে কেউই কাছে না থাকায় ২০০০ সালে সস্ত্রীক কলকাতার একটি বৃদ্ধাশ্রমে চলে আসেন সত্যেনবাবু। পরে স্ত্রী মারা গেলে ২০০৪ সালে দুর্গাপুরের কোয়ার্টারটিও ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই শেষ। তার পর থেকে দুর্গাপুরের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না মৈনাকদের।
গত কাল টিভির পর্দায় মৈনাকের মুখ উঠে আসাতেই তাঁর খোঁজ পান ছেলেবেলার বন্ধুরা। তবে অন্য পরিচয়ে। ‘বুড়ো’ এখন আমেরিকার বন্দুকবাজ মৈনাক।