BJP

রাজ্য বিজেপিতে বড় বদল, নবান্ন অভিযানের আগেই দায়িত্বে মঙ্গল ও আশা, বড় পদ খোয়ালেন অনুপম

পঞ্চায়েত-লোকসভা নির্বাচনে বাংলা যে বিজেপির পাখির চোখ তা স্পষ্ট করে বাংলায় প্রধান দায়িত্বে রইলেন সুনীল বনসল। তাঁর নীচে মঙ্গল পাণ্ডে এবং তারও নীচে অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৪৬
Share:

বাংলায় গুরুত্ব বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি।

বড় লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই রয়েছে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন। সে সবের আগে রাজ্যের সংগঠন ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ায় নতুন পদক্ষেপ করলেন গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আর সে ভাবে বাংলায় দেখা যায়নি। এর পরে গত ১০ অগস্ট রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসলকে। তবে উত্তরপ্রদেশে দলকে সাফল্য দেওয়া সুনীলের হাতে রয়েছে বাংলা ছাড়াও ওড়িশা ও তেলঙ্গানার দায়িত্ব। এ বার শুধুই বাংলার জন্য পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডেকে। এক সময়ে বিহারের রাজ্য সভাপতিও ছিলেন মঙ্গল। এখন সুনীলের পরেই রাজ্যের সংগঠনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষে দায়িত্বে থাকবেন।

Advertisement

এত দিন রাজ্যে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা অমিত মালব্যেরও চাপ কমল। শুক্রবার সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বাংলার জন্য আরও এক জন সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করলেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক আশা লাকড়াকে। তিনি শুধু সর্বভারতীয় নেতাই নন, রাঁচী পুরসভার মেয়রও। তিনিই হচ্ছেন রাজ্য বিজেপির প্রথম কোনও মহিলা সহ-পর্যবেক্ষক।

অন্য দিকে, বাংলারই এক বিজেপি নেতার দায়িত্ব কমিয়ে দিয়েছেন নড্ডা। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বিজেপির জাতীয় সম্পাদক পদে থাকা অনুপম হাজরা এত দিন বিহারের সহ-পর্যবেক্ষক ছিলেন। শুক্রবার তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া সত্ত্বেও বিহারে সফর না করা এবং বাংলায় বিজেপিকে বার বার অস্বস্তি ফেলার কারণেই অনুপমের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভিযোগ তৈরি হচ্ছিল। রাজ্য বিজেপির অনেকেই মনে করেছেন সেই কারণেই অনুপমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।

Advertisement

পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে বাংলা যে বিজেপির পাখির চোখ তা স্পষ্ট করে এখন বাংলায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে প্রধান দায়িত্বে রইলে সুনীল। যে দায়িত্ব এক সময়ে ছিল কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশের। সুনীলের নীচে মঙ্গল এবং তারও নীচে মালব্য এবং আশা। বিজেপিতে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পদে থাকা অমিতাভ চক্রবর্তী একজন সহকারী পেয়েছেন। রাজ্যে দায়িত্বে এসেছেন গোয়ায় সাফল্য দেখানো সতীশ ধন্দ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন