দিল্লিকে ছেড়ে রাজ্যের কংগ্রেসকে দুষলেন মমতা

রাজনৈতিক মহলের খবর, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি বিরোধী দলগুলি নতুন করে তৎপরতা শুরু করছে।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

বাজকুল শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

অবিজেপি দলগুলিকে একজোট করার প্রক্রিয়া শুরুর ঠিক আগে ফের রাজ্য কংগ্রেসকে সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গে এক বন্ধনীতে ভরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস আলাদা। এখানে কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে। নিজস্ব ভঙ্গিতেই কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএম সম্পর্কে তিনি বলেন, একদিকে বাম, এক দিকে রাম আর একদিকে শ্যাম। এখানে জগাই-মাধাই-বিদায়। জানুয়ারি মাসে তাঁর ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ করেও এদিনের এই মন্তব্যে বিশেষ বার্তা দেখছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের খবর, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি বিরোধী দলগুলি নতুন করে তৎপরতা শুরু করছে। পারস্পিরক বোঝাপড়া বাড়াতে দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনাও শুরু করেছেন একাধিক আঞ্চলিক দলের নেতারা। তার মধ্যে অবশ্য বাকিদের থেকে এক ধাপ এগিয়েই অবিজেপি নেতাদের একমঞ্চে জায়গা করে দিতে ব্রিগেডে সমাবেশ ডেকেছেন তৃণমূলনেত্রী। সেই সভায় কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, দিন সাতেকের মধ্যেই এ সব নিয়ে কথা বলতে দিল্লিতে যেতে
পারেন মমতা. তার আগে এদিন কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব সম্পর্কে নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের বোঝাপড়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, পঞ্চায়েতেও দেখেছি। দু পাশে দুই কলাগাছ মধ্যখানে মহারাজ।

এদিনের সরকারি সভায় দাঁড়িয়েও বিজেপিকে চড়া সুরে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বড় বড় ভাষণ দেয়। সব ডাকাত দলের সর্দার এক একজন। কেন তোমাদের রাজ্যে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করে?’’ বুলন্দশহরে পুলিশকর্তা খুনের প্রসঙ্গ টেনেও বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি একটা বিল আনছে ব্যাঙ্কে আপনি টাকা রাখলে আপনার আগে ওরা তুলে নেবে।’’

Advertisement

রাজ্য সম্পর্কে তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘আমাকে আঘাত করলে প্রত্যাঘাত করি। অনেক আন্দোলন করে সিপিএমের হাত খেকে বাংলাকে মুক্ত করেছি। শান্তি দিয়েছি। এই সিপিএমই এখন বিজেপি। এই হার্মাদদের জায়গা দেব না। সবাইকে তাড়াব।’’ এনআরসি-র প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি অসম থেকে বাঙালি তাড়ায়, গুজরাত থেকে বিহারি তাড়ায়। আমরা কাউকে মারি না, তাড়াই না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন