বিধানসভার অধিবেশনে দলীয় বিধায়কদের গরহাজিরা নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অনুষ্ঠানে হাজির থাকার অজুহাতে বিধানসভা এড়ানো যাবে না বলে তিনি নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও তৃণমূল বিধায়কদের কম হাজিরায় প্রায়শই বিপাকে পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে। এ বার সমস্যা মেটাতে তৃণমূল বিধায়কদের নিয়মিত হাজির থেকে সভার কাজে অংশগ্রহণ বাড়াতে ফের পরামর্শ দিয়েছেন দলের নেতৃত্ব।
দফাওয়াড়ি বাজেট অধিবেশনের জন্য তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠক বসেছিল মঙ্গলবার। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বৈঠকে ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুখ্য সরকারি সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসু প্রমুখ এ দিন দলীয় বৈঠকে জোর দেন বিধায়কদের উপস্থিতি এবং সক্রিয়তা বাড়ানোর উপরে। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবু পরে বলেন, ‘‘চার বছর শেষ করে পাঁচ বছরে পা দিচ্ছে সরকার। এখন আর নতুন শিখছি বলা যাবে না! সব বিধায়ককেই বলা হয়েছে নিয়মিত উপস্থিত থেকে বিধানসভার কাজে অংশ নিতে হবে। মন্ত্রীদেরও নির্দিষ্ট বিষয়ের দিনে উপস্থিত থাকতে হবে।’’ শাসক দলের বিধায়কদের নিয়মিত প্রশ্ন জমা দিতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দৃষ্টি আকর্ষণীতেও দলীয় বিধায়কদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয় বলে এ দিন বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছেন নেতারা। বিরোধীদের কোনও প্রশ্ন না এড়িয়ে মন্ত্রীরাও যাতে তথ্যসমৃদ্ধ জবাব দিতে পারেন, সে দিকেও নজর দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এ দিনের পরিষদীয় দলের বৈঠকে। পাশাপাশিই, বিধানসভা ভোটকে লক্ষ রেখে এখন থেকেই নিজেদের এলাকায় ভোটার তালিকা তৈরিতে বিধায়কদের প্রস্ততি নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।