Mamata Banerjee and Omar Abdullah

‘কাশ্মীরে যান’, ওমরকে পাশে নিয়ে রাজ্যবাসীকে আবেদন মমতার! জানালেন পুজোর পর ভূস্বর্গ যাওয়ার ইচ্ছার কথাও

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ধাক্কা খেয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনশিল্প। অনেক পর্যটক ভূস্বর্গে যেতে ভয় পাচ্ছেন। সেই আবহে নবান্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানান, ভয় নেই আর কাশ্মীরে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ১৭:৩২
Share:

(বাঁ দিকে) ওমর আবদুল্লা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বাংলার সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের সম্পর্ক নিবিড়। বাংলা থেকে অনেকেই ছুটি কাটাতে পাড়ি দেন ভূস্বর্গে। তবে পহেলগাঁও কাণ্ডের পর অনেকে পর্যটক ভয়ে কাশ্মীরে যেতে চাইছেন না! ধাক্কা খেয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প। বৃহস্পতিবার নবান্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানান, ভয় নেই আর কাশ্মীরে। তাঁর কথার রেশ ধরেই মমতাও রাজ্যবাসীর উদ্দেশে কাশ্মীরে যাওয়ার আবেদন করেন। একই সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর পর তিনি কাশ্মীরে যেতে পারেন। দুই রাজ্যের মধ্যে পর্যটন বন্ধনকে আরও মজবুত করার বার্তাও দিলেন দুই মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

পহেলগাঁও কাণ্ডের পর প্রথম বার বাংলায় এলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম শরিক ওমর। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর বাংলা থেকে একটি প্রতিনিধিদল জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ এবং রাজৌরিতে পাঠিয়েছিলেন মমতা। সেই কথা মনে করিয়ে ওমর বলেন, ‘‘বাংলার প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিল। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছিল। প্রতিনিধিদল পাঠানোর জন্য দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ধন্যবাদ জানাই।’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীর বাণিজ্য, পর্যটনশিল্পে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুক। সেই কারণে আমি দিদিকে কাশ্মীরে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’’

ওমরের আমন্ত্রণের কথা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমি পুজোর পর কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করব।’’ তার পরেই তিনি জানান, সব দিক থেকে কাশ্মীরকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত তাঁর সরকার। মমতার কথায়, ‘‘আমাদের পর্যটকদের উচিত কাশ্মীরে যাওয়া। কোনও ভয় নেই।’’ পাশাপাশি, পর্যটকদের নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আরও বেশি পর্যটক যাতে জম্মু-কাশ্মীরে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে। সীমান্তসুরক্ষা কেন্দ্রের হাতে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তাদের। প্রয়োজনে ওমর আবদুল্লার সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ করুক।’’

Advertisement

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন পর্যটক। বাংলারও তিন বাসিন্দা সেই সময়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ হারান। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনায় জড়ায় ভারত। ফলে কাশ্মীরের পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই কারণে অনেক পর্যটকই কাশ্মীরকে এড়িয়ে চলছেন। বাংলার অনেক পর্যটকও কাশ্মীরের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। তবে ওমরের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা জানান, ভয় না পেয়ে কাশ্মীরে যান। বাংলার পর্যটন দফতর জম্মু-কাশ্মীরের সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বলেও আশ্বাস দেন মমতা।

মমতার সঙ্গে নবান্নে ওমরের বৈঠককে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় এসেছেন তাতে খুশি। তবে তাঁর উচিত বিতান অধিকারী এবং সমীর কুন্ডুর (পহেলগাঁও কাণ্ডে নিহত বাংলার দুই বাসিন্দা) বাড়িতেও যাওয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement