মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। -ফাইল চিত্র
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির খবর পেয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহল থেকে কলকাতা ফিরে নবান্নে ঢোকার সময়েই সুদীপের গ্রেফতারির খবর পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তৎক্ষণাৎ ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলনেত্রী। নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করলেই সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে লাগিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার। কত সিবিআই আছে? সবাইকে গ্রেফতার করুন।’’ প্রধানমন্ত্রীকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘‘আপনার হাতে যেমন সরকার আছে, আমাদের হাতেও কিন্তু তেমনই সরকার আছে। পাল্টা গ্রেফতার আমিও করতে পারি।’’
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির নিন্দা করে টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর জরুরি ভিত্তিতে তৃণমূল সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নেই এই বৈঠক হবে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হলে বাবুল সুপ্রিয়, রবীন দেব, মহম্মদ সেলিম, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং সুজন চক্রবর্তীকেও এ বার গ্রেফতার করতে হবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আগামী কাল থেকে লাগাতার আন্দোলন এবং ধর্না শুরু হচ্ছে বলে মমতা ঘোষণা করেছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘সুদীপ দা জেলে থাকলেও, মনে রাখবেন বাংলার মানুষের হৃদয়ে আছেন।’’
আরও পড়ুন: এ বার গ্রেফতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
নরেন্দ্র মোদীকে এ দিন দাঙ্গাবাজ লোক বলেও আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী এবং অমিত শাহকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবিও তুলেছেন তিনি। মমতার দাবি, মোদী ও অমিত শাহদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, তা হলে কেন তাঁদেরও গ্রেফতার করা হবে না? তিনি বলেন, বেআইনি লগ্নিসংস্থা তৈরি হয়েছিল বাম আমলে। তৃণমূল বেআইনি লগ্নিসংস্থা তৈরি করেনি। কেন ১৯৮০ সাল থেকে তদন্ত হবে না? কেন সিপিএম নেতাদের ধরা হবে না?