বিজেপির প্রস্তাবিত রথযাত্রাকেও কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।—ফাইল চিত্র।
বিজেপির ‘রাম’ রাজনীতির মোকাবিলায় এ বার দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাম দুর্গাপুজো করেছেন। আমরাও তো সেই দুর্গাপুজোই করি।’’
সোমবার বড় বাজারের পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে একই সঙ্গে বিজেপির প্রস্তাবিত রথযাত্রাকেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রথ তো নয়, যেন ফাইভ স্টার হোটেল! বিজেপির কাছ থেকে ধর্মের পাঠ নেব না। আমরা ধর্ম শিখি মানুষের কাছ থেকে।’’
অন্যদিকে, রথযাত্রা ঘিরে বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। রথযাত্রার অনুমতি না পেলে আদালতে যাওয়া হবে কি না, বিরোধ মূলত তা নিয়েই।
এ দিন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে যাত্রার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বৈঠকে বসার জন্য দু’টি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি। আর বেশি সময় দেওয়া যাবে না। আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’ অথচ এ দিনই দলের নির্বাচন কমিটির শীর্ষ নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আপাতত আদালতে যাওয়ার কথা তাঁরা ভাবছেন না।
আরও পড়ুন: পোস্তার হাল কেমন? প্রশ্ন মমতার, জবাব: ‘বুরা’
রথযাত্রা প্রসঙ্গে সোমবার দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এর আগেও প্রশাসন আমাদের বহু কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি। এ ক্ষেত্রেও তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, অনুমতি না মিললেও রথযাত্রা হবে। তাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকে দায় নিতে হবে।
দিলীপবাবুকে পাল্টা কটাক্ষ করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রথ টানতে তো লোক লাগে! ওদের তো চাকা লাগানোরও লোক নেই। এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের রথ ছুটছে। ওরা জনতার আদালতে পরাস্ত হয়ে বার বার আদালতমুখী হয়।’’ অন্যদিকে অসম থেকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, ‘‘বড় বড় কথা বলছে। এদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ২০১৯-এ সারা ভারতে বিজেপির রথযাত্রা নয়, শবযাত্রা বেরবে।’’