একুশের আগের রাতে ভিড় কম কলকাতায়, লোক কত হবে, সংশয়ী মমতাও

শনিবার সন্ধ্যায় ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চে প্রস্তুতি দেখতে এসে মমতা বলেন, ‘‘রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় এ বার স্বতঃস্ফূর্ত প্রচুর মানুষ পাচ্ছি না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

২১ জুলাইয়ের মঞ্চের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

ভিড়ের নিরিখে আজ, রবিবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ কতটা নজর কাড়বে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চে প্রস্তুতি দেখতে এসে মমতা বলেন, ‘‘রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় এ বার স্বতঃস্ফূর্ত প্রচুর মানুষ পাচ্ছি না।’’ পাশাপাশি রেলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘‘রেলও কলকাঠি নেড়ে রেখেছে। চক্রান্ত কথাটা আমি বলছি না। তবে প্রতিদিন যে সংখ্যক ট্রেন চলে, আমার সভা থাকায় তার ৩০ শতাংশও যাতে না চলে, তার চেষ্টা করছে।’’ পূর্ব রেল যদিও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ দিন কিছু বাড়তি ট্রেন চালানোর কথা জানিয়েছে।

এ দিকে, দূর-দূরান্তের জেলাগুলি থেকে সমাবেশে যোগ দিতে লোক কলকাতায় এসে পৌঁছতে শুরু করেছে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক, আলিপুরের উত্তীর্ণ স্টেডিয়ামে লোক রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। এই জায়গাগুলিতে অবশ্য শনিবার রাত পর্যন্ত ভিড়ের যে ছবি চোখে পড়েছে, তা অন্যান্য বারের তুলনায় বেশ কম। তবে আজ সকালে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক ধর্মতলামুখো হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। যদিও বাস ভাড়া করার টাকা দলের তরফে অনেক জেলা এ বার পায়নি বলে জেলা সভাপতিদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। ফলে বিগত বছরগুলির তুলনায় বাসের সংখ্যাও অনেকটাই কম হবে বলে জানিয়েছেন একাধিক জেলার নেতারা।

Advertisement

শহিদ দিবসের ২৪ ঘণ্টা আগেই মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। প্রতিবারের মতোই এ বারও ত্রিস্তরীয় মঞ্চ তৈরি হয়েছে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। মেশিন নয়, ব্যালট চাই— এই স্লোগানের সঙ্গে মঞ্চে তৃণমূল নেত্রীর ছবি। প্রতিবারের মতোই সভার আগের দিন মঞ্চের প্রস্তুতি দেখতে এসেছিলেন মমতা। ঘণ্টাখানেক মঞ্চের পাশে বসেই দলের কর্মী-নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। সভাস্থল থেকে বেরোনোর পথে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর দলের বার্ষিক এই সমাবেশের জন্য ট্রেনে আসা সমর্থকদের কোনও ছাড় দিচ্ছে না রেল। মমতা বলেন, ‘‘আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় অনেক রাজনৈতিক দলের সভার জন্য ভাড়ায় প্রায় ৭৫% ছাড় দিতাম। কিন্তু বিজেপি সরকার আমাদের সভার জন্য কোনও ছাড় দিচ্ছে না। আমরা তো আর পুরো ট্রেন ভাড়া করতে পারি না! অনেক টাকা লাগে। তা-ও আমাদের সভা সফল হবে।’’

আজ, সকাল থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে সভাস্থলে পৌঁছবেন সমর্থকেরা। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলিতেও কর্মীদের রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। আজ সকালে এই জেলাগুলি থেকে কর্মীদের নিরাপদে সভাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দলের তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থাও। হুগলিতে জায়গায় জায়গায় দলের তরফে ক্যাম্প অফিস করা হয়েছে। কলকাতামুখো বাস, গাড়ি চলাচলে কোনও রকম অসুবিধা যাতে না হয়,

সে দিকে নজর রাখবেন ক্যাম্প অফিসের কর্মীরা। সমর্থকদের যাতে সমস্যা না হয়, সে দিকে খেয়াল রেখে হুগলির জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘কোনও ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে কর্মীদের।’’

হাওড়া ও শালিমার দিয়ে প্রচুর সমর্থক ধর্মতলার দিকে যাবেন বলে দু’জায়গাতেই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাওড়ার জেটিঘাটগুলি থেকে লঞ্চ বেশি পরিমাণে চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাওড়ায় তৈরি করা হয়েছে মেডিক্যাল সেন্টার। চিকিৎসকও থাকবেন সেখানে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন