শুক্রবার তৃণমূল ভবনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জামিন পাওয়ায় তৃণমূলে খুশির হাওয়া। খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু অসুস্থতার কারণে জামিন পাওয়া সুদীপকে এ দিন কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির ‘শিকার’ হিসাবে আরও এক বার তুলে ধরলেন তিনি। মোদী-বিরোধী অন্য দলগুলির বিরুদ্ধেও একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি নেমে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা এ দিন দলের বৈঠকে নেতা-কর্মীদের বলেন, কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেই নেতাদের দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে কেন্দ্র। হেনস্থা করা হচ্ছে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ, চিদম্বরম, কেজরীবাল, লালু প্রসাদের মতো নেতাদেরও।
তৃণমূলের আরও কিছু নেতার বিরুদ্ধেও বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে বলে এ দিন অভিযোগ করেন মমতা। সারদা, রোজ ভ্যালির পাশাপাশি নারদ-কাণ্ডেও অনেক নেতার নাম জড়িয়েছে। গ্রেফতারির আশঙ্কাও করছেন তৃণমূল নেতারা। তবে তার জন্য নেতাদের ভয় না-পেতে বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এক সঙ্গে ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করা হবে। রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করা হবে।’’
আরও পড়ুন: অসুস্থ বলে সুদীপকে জামিন ভুবনেশ্বর হাইকোর্টের
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপি লোকসভা ভোট এগিয়ে ২০১৮-এ করতে পারে। সঙ্গে বিধানসভা ভোটও করতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিরোধিতা করব। কিন্তু ওরা যা খুশি করছে! জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে।’’
তবে সুদীপের জামিনের পরেই বিরোধীদের তরফে দিদিভাই-মোদীভাই সমঝোতার তত্ত্ব ফের তোলা হয়েছে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘গ্রেফতার হলে তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তা হলে জামিনটা নিশ্চয়ই রাজনৈতিক পুরস্কার!’’ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য সে অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘সাত পুরসভায় যারা একটা আসনও জিততে পারে না, সেই সিপিএমের কথা কে শুনবে? জামিন তো দিয়েছে আদালত!’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘তদন্তে উঠে এসেছে, সুদীপবাবু টাকা তুলে দলের তহবিলে দিয়েছেন। তার মানে সুদীপবাবুর মতো অনেক নেতাকেই এ ভাবে ব্যবহার করেছেন তৃণমূল নেত্রী। এরও তদন্ত হোক।’’