তৃণমূলের ব্রিগেড সভার মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার সমর্থনে সিবিআই এবং বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন রাজনৈতিক নেতারাও। —ফাইল চিত্র।
পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাংলোয় সিবিআই হানাকে কেন্দ্র করে চরম নাটকীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক অভ্যুত্থানের অভিযোগ তুলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, এর প্রতিবাদে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারাও।
এই ঘটনা জানার পরই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে রক্ষা করতে নেমেছেন। আমরা ওঁর পাশে আছি।’
টুইট করে ঘটনার নিন্দা করেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়াও। তাঁর টুইট, ‘পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতার করতে সিবিআই হানা বাংলায়! এই মুহূর্তে ওখানে যা হচ্ছে, তাতে হতবাক আমি। জরুরি অবস্থার সময় এরকম অসাংবিধানিক আচরণ ঘটত। এই মুহূর্তে বাংলার পরিস্থিতি সেরকমই।’
রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে মমতাকে সমর্থন করে টুইট করেছেন অখিলেশ যাদবও। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘দেশে উৎপীড়ন চালাচ্ছে বিজেপি সরকার। সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে। দেশের সংবিধান ও মানুষের স্বাধীনতা বিপন্ন হতে বসেছে। এই নিপীড়ণের বিরুদ্ধে যে ভাবে ধর্নায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আমার। বিজেপিকে পরাজিত করতে এই মুহূর্তে একজোট দেশবাসী ও বিরোধী নেতারা।’
’ & &
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তিনি লেখেন, ‘দেশের গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করছেন মোদীজি। কয়েক বছর আধা সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে দিল্লির অপরাধ দমন শাখাকে আটক করিয়েছিলেন। আজ আবার এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। মোদী-শাহ জুটি ভারত এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। আজকের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।’ কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলও ফোন করে সমর্থন করেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন তেজস্বী যাদবও। কাল অর্থাৎ সোমবার তিনি কলকাতায় আসতে পারেন বলেও জানিয়েছেন।
’ & &