রাত পোহালেই শুরু জমির মাপজোক। —ফাইল চিত্র।
আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে সিঙ্গুরে শুরু হচ্ছে জমি ফেরতের প্রক্রিয়া। নবান্নে বৈঠক সেরেই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ সপ্তাহ নয়, তার আগেই কৃষককে ফিরিয়ে দিতে হবে জমি। রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
সিঙ্গুরের বিষয়ে প্রসাশনিক পদক্ষেপের রূপরেখা স্থির করতে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটেয় নবান্নে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও শিল্প, অর্থ এবং ভূমি দফতরের সচিবরা বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আগামী কাল থেকেই অধিগৃহীত এলাকায় জমি জরিপের কাজ শুরু হবে। দু’সপ্তাহের মধ্যে জমি জরিপের কাজ শেষ করা হবেও বলে তিনি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগামী দু’সপ্তাহ জরিপ হবে। তার পর চার সপ্তাহে কৃষকের হাতে জমি তুলে দেওয়ার জন্য ফিল্ড সার্ভে হবে। যাঁর যেখানে জমি ছিল, তাঁকে সেখানেই জমি ফেরত দেওয়া হবে।’’ সিঙ্গুরের অধিগৃহীত জমিতে কারখানা গড়ার কাজ যেহেতু শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাই সেখানে এখন অনেক জমিই আর চাষযোগ্য নেই। সেই সব জমি ফেরত পেয়ে কৃষকের আর লাভ কী? এমন প্রশ্নও তুলছিল বিভিন্ন শিবির। মুখ্যমন্ত্রী সে প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন। তিনি এ দিন বলেছেন, ‘‘যে জমি চাষযোগ্য নয়, সেই জমি আমরা চাষযোগ্য করেই কৃষককে ফেরত দেব।’’
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক নয় সিঙ্গুরের এই রায়?
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আদালত নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই জমি ফেরানোর প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। তবে জরিপ এবং ফিল্ড সার্ভের জন্য যে সময়সীমা মুখ্যমন্ত্রী বেঁধে দিয়েছেন, তাতে আদালতের দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার অনেক আগেই জমি হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে।