কাজে মগ্ন। মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর উইমেন্সে তোলা নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষামন্ত্রী ইস্তফা গ্রহণ করেননি। তাই মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে ফিরে কাজে যোগ দিলেন অধ্যক্ষ মানবী মুখোপাধ্যায়। এ দিন তিনি বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী আমাকে স্নেহের বন্ধনে বেঁধেছেন। সেই কারণেই আমি আবার কাজে যোগ দিলাম।”
গত বছর উইমেন্স কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন মানবী। কিছু দিন যেতে না যেতেই শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের সঙ্গে নানা বিষয়ে বিরোধ তৈরি হয় তাঁর। নবীনবরণ নিয়ে কলেজ ভাঙচুরও চালায় টিএমসিপি সমর্থক ছাত্রীরা।
পরিস্থিতি এত ঘোরালো হয়ে দাঁড়ায় যে সম্প্রতি মানবীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার, অশালীন ভাষা ব্যবহার-সহ ১২ দফা অভিযোগ তুলে অবস্থানে বসেন সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। টানা এক সপ্তাহ কলেজ বন্ধ করে বিক্ষোভ চলে। তার পরও প্রতিকার না পেয়ে বিক্ষোভকারীদের পাশাপাপাশি বেশ কিছু প্রাক্তন ছাত্রীও কৃষ্ণনগর শহরে মিছিল বের করেন।
এর প্রায় ১৫ দিন পরে সরকারি প্রতিনিধিরা এসে তদন্ত করেন। তারই মধ্যে কলেজের প্রশাসক তথা নদিয়া জেলাশাসক সুমিত গুপ্তর কাছে ইস্তফা দেন মানবী। কলেজে তিনি আর থাকবেন কি না তা নিয়ে নানা জল্পনাও শুরু হয়। কিন্তু কল্যাণীতে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে জানিয়ে দেন, তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করা হবে না।
সোমবার বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মানবী। তাঁর দাবি, “মন্ত্রী আমাকে স্নেহের বন্ধনে আটকে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের লাইন তুলে বলেছেন— যেতে নাহি দিব। তার চেয়েও বড় কথা, যাঁরা তদন্তে এসেছিলেন, তাঁরা রিপোর্ট দিয়েছেন যে আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ৮৫ শতাংশ ভিত্তিহীন।”
বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা অবশ্য পাল্টা দাবি করছেন, মানবীর ইস্তফা দেওয়াটা আসলে পাল্টা চাল। আগামী দিনে যদি তিনি একই রকম আচরণ করলে তাঁরা ফের রাস্তায় নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।