— ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া।
কংগ্রেস ছেড়ে কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সবংয়ের এই বর্ষীয়ান বিধায়ক। কিন্তু দলত্যাগ করলেও বিধানসভায় কংগ্রেসের সদস্য পদ থেকে তিনি এখনও ইস্তফা দেননি। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, মানসবাবুকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে মন্ত্রিসভার সদস্য করা হবে বলেও এক প্রকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২ ডিসেম্বর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। সূত্রের মতে, তার আগেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মানসবাবু ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মানসবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর বক্তব্য,‘‘আমি কিছু জানি না। যা বলার দলীয় নেতৃত্ব বলবেন।’’
তবে মানসবাবু কিছু না বললেও শাসক দলের এক নেতা বলেন, উনি যেহেতু সরকারি ভাবে এখনও কংগ্রেসের বিধায়ক, তাই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে তাঁকে কংগ্রেসের বেঞ্চে গিয়ে বসতে হবে। যা মানসবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতার পক্ষে কিছুটা অস্বস্তিকর।
এখন প্রশ্ন, তা হলে কি আসন্ন অধিবেশনে বিধানসভায় মানসবাবুকে দেখা যাবে না?
জবাবে মমতা ঘনিষ্ঠ এক নেতা সোমবার বলেন, অধিবেশন বসার আগে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার ছোটখাটো রদবদল করতে পারেন। কারণ, নদিয়া জেলার নেতা উজ্জ্বল বিশ্বাসকে মন্ত্রী করবেন বলে নেত্রী আগেই জানিয়ে রেখেছেন। এখন
আবার অবনী জোয়ারদার অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে দফতরহীন মন্ত্রী করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অবনীবাবুর অধীনে থাকা কারা দফতরের দেওয়া হয়েছে সেচ মন্ত্রীকে। ফলে অবনীবাবুর স্থানে নতুন মুখ আনাও অনিবার্য হয়ে উঠছে। বিধানসভা অধিবেশনের আগে ওই রদবদল হলে মন্ত্রিসভায় মানসবাবুর ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা উ়়ড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফলে তখন মন্ত্রী হিসাবেই অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন তিনি। তবে তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে।