শহরের ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের সভায় মানস। নিজস্ব চিত্র।
তালিকায় এ বার মানস ভুঁইয়ার নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ সম্বোধন করার তালিকায়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ প্রথম মাতৃ সম্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তার পরেও একাধিক বার ভারতীর গলায় শোনা গিয়েছে ‘মা’ মমতার প্রশংসা। তার পরে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একই পথে হেঁটেছেন। এ বার তৃণমূল নেত্রীকে ‘ বাংলার মা’ বললেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া।
সোমবার বিকেলে পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে শহর তৃণমূল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় মুখ্য বক্তা ছিলেন মানসবাবু। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘শান্তিরাম মাহাতো পুরুলিয়ার উন্নয়নের জন্য দারুণ কাজ করছেন। কিন্তু আসলে কে করছেন? সবার উপরে যিনি আছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা আমার বোন। কিন্তু, তিনি আজ বাংলার মা হয়ে গিয়েছেন। ৩৩ বার বাংলার বিভিন্ন জেলায় গিয়েছে। কোন জনপ্রতিনিধি এত বার নিজের এলাকার গ্রামে গিয়েছেন?’’
পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে পুরসভার চেকবই ও কিছু নথি সরানোর অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিন দিন পুলিশ হেফাজতে কাটিয়ে জামিন পাওয়া পরেই কংগ্রেস ও বাম দলগুলি এই ট্যাক্সি স্ট্যান্ডেই সুদীপবাবুর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সভা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছিল। তার পরে এখানেই সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনিও আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন রাজ্যের শাসক দলের প্রতি। এই দু’টি সভারই পাল্টা হিসাবে এ দিন সভা ছিল তৃণমূলের। তবে, প্রকাশ্যে সভার বিষয় ছিল নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং রাজ্যের উন্নয়নে বিরোধীদের বাধাদান।
মানস বলেন, ‘‘আমতায় কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অপরাধে হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। সেই সিপিএমের হাত ধরেছে কংগ্রেস!’’ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ‘জগাই-মাধাই’ আখ্যা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এঁরা বলছেন, মমতা তফাত যাও। আমরা সুজন-সূর্যের সঙ্গেই থাকব। আমি বই লিখছি। সব লিখে দেব। কে কী করত, কার কী ভূমিকা ছিল। তার পরেই বলেছেন, এর পর বইতে পড়বেন। আর বলছি না।’’
যা শুনে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর কটাক্ষ, ‘‘বিধানসভার ভিতরে তো এখনও মানসবাবু কংগ্রেসের টিকিটে জেতা বিধায়ক হিসাবেই রয়েছেন। বিধানসভার ভিতরে জেকে তৃণমূল বলেন না। কিন্তু, বাইরে গেলেই তৃণমূল হয়ে যান!’’