রাজ্যের উন্নয়ন করেছেন মমতা, মানলেন মানস

ভোটে যা হওয়ার হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা সবং-এর বিধায়ক মানস ভুঁইয়া মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। ভোটের ফলাফলই তার প্রমাণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৬ ০৩:৪৩
Share:

ভোটে যা হওয়ার হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা সবং-এর বিধায়ক মানস ভুঁইয়া মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। ভোটের ফলাফলই তার প্রমাণ। সোমবার মানস জানান, ‘‘তাই যত দ্রুত সম্ভব সবং-এর উন্নয়নের দাবি নিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করব।’’

Advertisement

ঘটনাচক্রে এ দিনই দিল্লি থেকে কংগ্রেস হাইকমান্ড জানিয়ে দিয়েছে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান। কংগ্রেস বিধায়করা অধিকাংশই মানসবাবুর পরিবর্তে মান্নানকে বেছে নিয়েছেন ওই পদে।

তার পরেই মানসবাবু বলেন, ‘‘এখন আমি কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়কের মধ্যে একজন। তাই সবং-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রীদের কাছে দরবার করাই আমার প্রধান কাজ।’’ উন্নয়নের জন্য যে মন্ত্রী ও আমলাদের কাছে দরবার করতে হয়, তা জানিয়ে মানসবাবু বলেন, ‘‘মমতা অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আশা করি আগামী দিনেও করবেন। সবং-এর উন্নয়নের জন্য কদিনের মধ্যেই ওঁর সঙ্গে দেখা করব।’’

Advertisement

মানসবাবু এক সময়ে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা ছিলেন। ২০১২ সালে মমতার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পরে মানসবাবু তাঁর পুরানো কোনও পদ ফিরে না পেলেও বিধানসভায় কংগ্রেসের অন্যতম মুখ ছিলেন। বিগত ১০ বছর মানসবাবুকে বিধানসভায় যে ভূমিকায় দেখা যেত, আগামী দিনে তা আর দেখা যাবে না বলে তাঁর দলের অনেকে মনে করছেন।

মান্নানকে এ দিন ফোন করে অভিনন্দন জানান মানস। পরে বলেন, ‘‘উনি ১০ বছর বাদে আবার বিধায়ক হলেন। জোটের নেতা। ওঁকে অভিনন্দন জানাই। বিরোধী দলনেতা হিসাবে উনি ভাল কাজ করবেন।’’ সেক্ষেত্রে বিধানসভায় আপনার ভূমিকা কী হবে? জবাবে মানসবাবু বলেন, ‘‘আমার কেন্দ্র সবং, সংলগ্ন পিংলা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের উন্নয়ন ও মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করাই আমার কাজ হবে।’’ আপাতত তাঁর লক্ষ্য সবং হাসপাতালের উন্নয়ন, সবং-এ একটি কারিগরি কলেজ এবং মহিলা কলেজ স্থাপন। মানসবাবু মনে করেন, এ ব্যাপারে সরাসরি মমতার সঙ্গে দেখা করাই ভাল। সিপিএমের সঙ্গে জোটে যাওয়ার পরিবর্তে মানসবাবু ‘একলা চলো’ নীতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। পরে অবশ্য দলের নির্দেশ মেনে তিনি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে একাধিক সভা করেন। বিভিন্ন জায়াগায় জোট
প্রার্থীর পক্ষে প্রচারও করেন। মানসবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমি মমতা-পন্থীও নই। বুদ্ধ-পন্থীও নই। আমায় ভোট দেওয়া সবং-এর মানুষের স্বার্থ দেখাই আমার কাজ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন