কাশ্মীর থেকে বাড়িতে ফিরছেন ১৩৩ জন শ্রমিক

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের সঙ্গে সমন্বয় করে রাজ্যের শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশের বিশেষ একটি দল গঠন করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:১৪
Share:

ছবি: পিটিআই।

জম্মু থেকে রাজ্যে ফেরার জন্য রওনা দিলেন কাশ্মীরে আটকে পড়া ১৩৩ জন শ্রমিক। সরকারি সূত্রের খবর, শনিবার তাঁরা জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে উঠেছেন। আগামিকাল, সোমবার বিকেলে তাঁদের হাওড়ায় পৌঁছনোর কথা। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের কয়েক জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, ওই ১৩৩ জনের মধ্যে ১১২ জনই দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের ৬ জন, উত্তর ২৪ পরগনার ২ জন, জলপাইগুড়ির ২ জন, কোচবিহারের ২ জন, বীরভূমের ৮ জন এবং মালদহের ১ জন রয়েছেন। হাওড়া স্টেশন থেকে প্রত্যেক শ্রমিককে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছনোর দায়িত্বও রাজ্য সরকার নিয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের সঙ্গে সমন্বয় করে রাজ্যের শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশের বিশেষ একটি দল গঠন করা হয়েছিল। সেই দলে দু’জন সিনিয়র আইপিএস অফিসার ছাড়াও একাধিক অতিরিক্ত এসপি এবং ডিএসপি পদের আধিকারিক রয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বৈশাখীর নিমন্ত্রণ এড়িয়ে গেল তৃণমূল, সৌজন্য রক্ষার চেষ্টা করল বিজেপি

রাজ্যের এক পুলিশকর্তা জানান, রাজ্যে ফিরতে চাওয়া শ্রমিকদের তথ্য সিআরপিএফ-কে দেওয়া হয়েছিল। তারাই ওই শ্রমিকদের জম্মু পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের দল তাঁদের ফিরিয়ে আনছে। কাশ্মীর ছাড়ার আগে নির্দিষ্ট বয়ানে সই করছেন শ্রমিকেরা। তাতে উল্লেখ করা রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়ার জন্য সেই রাজ্যের পুলিশ তাঁদের বাধ্য করেনি।

কাশ্মীরে কাজে করতে গিয়ে সাগরদিঘির পাঁচ জন শ্রমিক জঙ্গিদের হাতে খুন হন। সেই ভয়াবহ ঘটনার পরে কাশ্মীরে আটকে থাকা বাকি বাঙালি শ্রমিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে রাজ্য সরকার জানতে পারে। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী ওই শ্রমিকদের চিহ্নিত করে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আইপিএস অফিসার সঞ্জয় সিংহকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যে ফিরতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা হবে। গোটা প্রক্রিয়ার উপরে নবান্নের শীর্ষ স্তরও নজর রাখছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন