সিবিসিএস নিয়ে নানা মত, প্রশ্নও

স্নাতক স্তরে ছ’টি সেমেস্টারের অন্তত তিনটির দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিক। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:৫০
Share:

—ফাইল চিত্র।

কেউ বলেছেন, পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব। কেউ বা হাজিরার মাত্রা কিংবা সেমেস্টার পদ্ধতির চাপের কথা বলেছেন। শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির অধ্যক্ষদের নিয়ে এক কর্মশালায় ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস)’ নিয়ে এমনই মতামত উঠে এসেছে। তবে সূত্রের খবর, এই নয়া পদ্ধতিকে সফল করতে গেলে শিক্ষক পদ পূরণের উপরেই জোর দিয়েছেন অধিকাংশরা। দাবি উঠেছে, স্নাতক স্তরে ছ’টি সেমেস্টারের অন্তত তিনটির দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিক।

Advertisement

চলতি শিক্ষাবর্ষেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিবিসিএস চালু হয়েছে। এ দিন রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে এই পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে, আর্থিক সঙ্কটের জন্য অনেক নিম্নবিত্ত পড়ুয়াকে পড়াশোনার পাশাপাশি উপার্জন করতে হয়। হাজিরার কড়াকড়ির জন্য তাঁরা অসুবিধায় পড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, প্রথম সেমেস্টারে অনেক কলেজ ন্যূনতম ৬০ শতাংশ হাজিরার নিয়ম শিথিল করেছে। ছ’মাস অন্তর পরীক্ষার ফলে কলেজগুলো প্রবল চাপে পড়ছে বলেও অনেকে জানান

অধ্যক্ষদের একাংশের মতে, এই পদ্ধতিতে যে কঠোর নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অভাবে। এই পদ্ধতিতে প্রতি সেমেস্টারে ৯০ দিন প্রয়োজন। কিন্তু ছুটি বাদ দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে ৭০-৭৫ দিন। এর মধ্যে কম শিক্ষক নিয়ে সিলেবাস শেষ করাই অসম্ভব বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষেরা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কর্মশালায় ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক কর। তিনি পরে বলেন, ‘‘ইউজিসি-র নির্দিষ্ট নিয়মে সিবিসিএস চালু হয়েছে। এখন হাজিরা অথবা সেমেস্টারের নিয়মে বদল ঘটানো যায় না। তাতে পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য নষ্ট হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন