প্রতীকী ছবি।
প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণী পালন ও পশুচিকিৎসায় ভেটেরিনারি ফার্মাসির দু’বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেছিলেন অনেক ছাত্রছাত্রী। কিন্তু ২০১২ সালের পর থেকে ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভেটেরিনারি ফার্মাসিস্ট পদে নিয়োগ না-হওয়ায় কয়েকশো পড়ুয়া বিপাকে পড়েছেন। এর ফলে পশুচিকিৎসার কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত প্রাণী-চিকিৎসকেরা।
ভেটেরিনারি ফার্মাসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পল্লব প্রামাণিক জানান, প্রতি বছর ৩০ জন ছাত্রছাত্রী এই কোর্স পাশ করেন। কিন্তু গত দু’টি ব্যাচের সব পড়ুয়াই এখনও কর্মহীন। এই পাঠ্যক্রম পাশের পরে সরকারি চাকরি ছাড়া অন্য কোথাও আমাদের তেমন সুযোগ নেই। অন্য এক ছাত্রের অভিযোগ, ‘‘শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরে বার বার চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়েই এ বার আমরা অবস্থানে বসব।’’ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের অভিযোগ, পশু চিকিৎসায় ওষুধের মাত্রা বুঝিয়ে দেওয়া, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পাশাপাশি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঠেকাতে কী করণীয়—সবই ফার্মাসিস্টরা বুঝিয়ে দেন। কিন্তু এখন প্রাণিবন্ধু ও প্রাণিমিত্রদের দিয়ে এই সব কাজ করানো হচ্ছে।
রাজ্যের ৩৪২টি ব্লকে প্রাণী স্বাস্থ্য ও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলিয়ে ভেটেরিনারি ফার্মাসিস্টের মোট ৪৯৩টি পদ রয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রের খবর, এখন ১৬৯টির বেশি পদ খালি রয়েছে। প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে পশু চিকিৎসায় ভেটেরিনারি অফিসারের পাশাপাশি ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব অনেক। সরকারি স্তরে ওঁদের দ্রুত নিয়োগ কামনা করি।’’ বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকে কর্মরত পশু চিকিৎসক পার্থ সরকার বলেন, ‘‘ফার্মাসিস্ট না-থাকায় সব কাজই আমাকে করতে হচ্ছে।’’ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘ফার্মাসিস্টদের নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: যোগ্যদের কাজ নেই, মানলেন শিক্ষামন্ত্রীই