হাসপাতাল চোরা খরচ না-থামালে কড়া ব্যবস্থা

বেসরকারি হাসপাতালের ‘গোপন খরচ’-এর সন্ধান পেয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও। তার পরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন না-হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৩
Share:

বেসরকারি হাসপাতালের ‘গোপন খরচ’-এর সন্ধান পেয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন। হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও। তার পরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন না-হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার রায়।

Advertisement

ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের কর্তারা শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে গোপন খরচের অভিযোগ যাচাই করে দেখা গিয়েছে, চিকিৎসকের ফি হিসেবে ওয়ার্ডে দেখার জন্য এক রকম বিল কিন্তু আইসিইউ, আইসিসিইউ কিংবা ভর্তির সময়ে অন্য রকম ফি-এর উল্লেখ থাকে। বিষয়টি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জানানো হয়েছিল। তার পরেই চিঠি দিয়ে ক্ষমা চায় কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল।

কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, চিকিৎসকদের ফি-র তারতম্যের পাশাপাশি নার্সদের খাওয়ার খরচও বিলের মধ্যে ধরা হচ্ছে। অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে ওষুধের দাম। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে তাঁরা জানান, রোগীর পরিজন চাইলে বাইরে থেকেও ওষুধ কিনে আনতে পারেন। কমিশনের কর্তারা জানান, অপরাধের জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন না-হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলির অনীহা প্রসঙ্গে কমিশনের কর্তারা জানান, দু’টি কমিটি বিষয়টি দেখছে। সকলকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

২০১৭ সালের ১৭ মার্চ স্বাস্থ্য কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কমিশন সূত্রের খবর, ৪০টি কাজের দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৩টি মামলার। ১০৩টি মামলার শুনানি চলছে। ১০টি মামলায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হয়েছে। কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে ২৫টি মামলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement