কাঁথি নিয়ে কেন্দ্রের চিঠি, উত্তর রাজ্যের

সূত্রের খবর, রাজ্যকে মন্ত্রক জানিয়েছে, তাঁদের কাছে থাকা প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতির সভা ফেরত ৪০-৫০টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। অন্তত ৭০ জন আহত হন। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একাধিক ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

কাঁথির গোলমালের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য এবং রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে নবান্নে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের উদ্দেশে মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারির ওই চিঠি ফ্যাক্স মারফত পৌঁছয় নবান্নে। তাতে ‘তৎক্ষণাৎ’ জবাব চাওয়া হয়। রাজ্য তাদের বক্তব্য দিল্লিকে জানিয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, রাজ্যকে মন্ত্রক জানিয়েছে, তাঁদের কাছে থাকা প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতির সভা ফেরত ৪০-৫০টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। অন্তত ৭০ জন আহত হন। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একাধিক ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ। ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট নবান্নের থেকে চেয়েছে মন্ত্রক। রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, সেই তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের দাবির সঙ্গে একমত নয় রাজ্য। নবান্নের কর্তাদের দাবি, গোলমালের ইন্ধন আসে সভা ফেরত বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়ায়। এর পরেই দু’পক্ষ গোলমালে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সক্রিয় হয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। বুধবার ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কাঁথি থেকে ছ’জন, মরিশদা এবং চণ্ডীপুর থেকে তিনজন করে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে ফের ঘোরালো না হয়ে ওঠে, সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রশাসনে অনুমান, কেন্দ্রকে এই বিষয়গুলিই জানিয়েছে রাজ্য।

Advertisement

মঙ্গলবার সভা শেষে গোলমালের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ফোনে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তা টুইট করে জানিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তার পরেই তৃণমূলের তরফে পাল্টা টুইট করে অভিযোগ করা হয়, সংগঠিত ওই গোলমালের পিছনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাত রয়েছে।

এ দিনই বীরভূমের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মিথ্যে কথা বলে মানুষে মানুষে সংঘর্ষ লাগানোর চেষ্টা করছ। ১০০টা মিটিং করো। তোমরা মিটিং করলে আমাদের কর্মীরা উৎসাহিত হয়। পাল্টা মিটিং করা যাবে বলে। কিন্তু মিটিংয়ের পরে গাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছো। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। প্রতিবন্ধীদের গাড়ির উপর আক্রমণ হচ্ছে। এরা কারা? কোথা থেকে এসেছে? সব দাঙ্গাবাজের দল।’’

বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘কাঁথিতে যা হয়েছে, তা গণতন্ত্রকে হত্যা করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। আমাদের ৫০-৬০ জন কর্মী আহত। ১৫-২০ জন নিখোঁজ, মহিলারাও আছেন।’’ তৃণমূলের অফিস-বাস ভাঙচুর এবং আগুন কারা লাগাল? দিলীপের জবাব, ‘‘আমার জানা নেই। আমাদের উপর আক্রমণ হল। আবার আমাদের বিরুদ্ধেই রাজনাথ সিংহের কাছে নালিশ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন