টাকা ছিনতাইয়ের পর ব্যাঙ্কের সামনে জটলা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
দিনেদুপুরে ফের ছিনতাই খড়্গপুরে। সোমবার দুপুরে শহরের ভবানীপুরের রফিক চকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বেরোন আব্দুল রসিদ খান। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের সামনে রাখা স্কুটির বাক্সে টাকা রাখার সময় আচমকা এক দুষ্কৃতী ব্যাগ নিয়ে পালায়। চিৎকার করেও শেষ রক্ষা হয়নি। দুষ্কৃতী টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। আব্দুল রসিদ খানের দাবি, ব্যাগে এক লক্ষ টাকা ছিল। ঘটনার কথা পুলিশকে জানান আব্দুল রসিদ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
শিক্ষা দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী আব্দুল রসিদ খড়্গপুরের পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা। অভিযোগ, মেয়ের বিয়ের জন্য এ দিন তিনি ব্যাঙ্ক থেকে এক লক্ষ টাকা তোলেন। ব্যাঙ্কের সামনে রাখা স্কুটির বাক্সে তিনি টাকার ব্যাগ রাখছিলেন। সেই সময় এক অচেনা যুবক এসে তাঁকে বলে, রাস্তায় তাঁর দশ টাকা পড়ে গিয়েছে। টাকা পড়ে থাকতে দেখে কুড়োতে যান আব্দুল রসিদ। সেই সময় ওই যুবক টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।
আব্দুল রসিদ খানের অভিযোগ, “স্কুটিতে টাকা রাখার সময়ে এক যুবক আমাকে বলে দশ টাকা পড়ে গিয়েছে। আমার কাছে দশ টাকার নোট ছিল না। আমি টাকা কুড়িয়ে নিয়ে অন্য একজনকে দিতে যাই। সেই সময় স্কুটির ওপরে রাখা এক লক্ষ টাকার ব্যাগ লুঠ করে পালায় ওই যুবক।”
ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। ওই ব্যাঙ্কের ভিতরে নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও বাইরে কোনও রক্ষী ছিল না। এলাকায় পুলিশের টহলদারিও নজরে প়ড়ে না বলে অভিযোগ। আগেও রেলশহরে একাধিকবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৭ এপ্রিল খরিদায় এক মহিলার টাকার ব্যাগ ছিনতাই করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় এক যুবক। গত ২০ জুলাই পুরাতনবাজারে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে মারধর করে লক্ষাধিক টাকা লুঠের অভিযোগ ওঠে।
আব্দুল রসিদ খানের অভিযোগ, “ওই এলাকায় পুলিশি টহলদারি দেখা যায় না। পুলিশ টহল দিলে দুষ্কৃতীরা ছিনতাইয়ের সাহস পেত না।” স্থানীয় কাউন্সিলর নাফিসা খাতুনের কথায়, “ওই এলাকায় একটি ব্যাঙ্ক ও অনেক দোকানপাট রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ টাকা নিয়ে ওই এলাকায় আসেন। অথচ পুলিশের কোনও টহলদারি নেই। ওই এলাকায় সবসময় পুলিশ থাকা জরুরি।” যদিও পুলিশের দাবি, শহরের সর্বত্র টহলদারি চলে। এই ঘটনার তদন্ত
করে দেখা হচ্ছে।