ক্যান্টিন গড়ে বদলের স্বাদ পেয়েছেন অমৃতারা

কেউ মুড়ি ভেজে দিনগুজরান করতেন। কারও দিন কেটে যেত সংসারের চৌহদ্দিতেই। সেই সব দিন এখন অতীত। ক্যান্টিন তৈরি করেই দিনবদল করতে পেরেছেন শালবনির তিলাখুল্যা গ্রামে ‘রাধাকৃষ্ণ স্বনির্ভর গোষ্ঠী’র ১২ জন মহিলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৪৯
Share:

ক্যান্টিনে চলছে রান্না। —নিজস্ব চিত্র।

কেউ মুড়ি ভেজে দিনগুজরান করতেন। কারও দিন কেটে যেত সংসারের চৌহদ্দিতেই। সেই সব দিন এখন অতীত। ক্যান্টিন তৈরি করেই দিনবদল করতে পেরেছেন শালবনির তিলাখুল্যা গ্রামে ‘রাধাকৃষ্ণ স্বনির্ভর গোষ্ঠী’র ১২ জন মহিলা। পেয়েছেন অর্থনৈতিক স্বাধীনতার স্বাদ।

Advertisement

শালবনি ব্লক অফিসে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্যান্টিন চলছে। সদস্যরা নিজেরাই রান্না করছেন। সব খরচাপাতি বাদ দিয়ে দিনে লাভ হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা। অর্থাৎ মাসিক আয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। প্রথম মাসে লাভের এই অঙ্কে খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। এক সদস্য মমতা দাস বলছিলেন, “আগে বাড়িতে মুড়ি ভেজে বিক্রি করে সামান্য আয় হত। এখন মুড়িও ভাজতে পারব। আবার ক্যান্টিন থেকেও আয় করতে পারব। ভীষণ উপকার হয়েছে।’’

এই ক্যান্টিনে সুবিধা হয়েছে ব্লক অফিসের কর্মী থেকে সেখানে বিভিন্ন কাজে আসা সাধারণ মানুষের। ব্লক অফিসে বিভিন্ন বৈঠকেও খাবার যায় এই ক্যান্টিন থেকেই। শালবনির বিডিও পুস্পল সরকার বলেন, “বাইরে দু’-একটি খাবার হোটেল ছিল বটে। কিন্তু অফিসে ক্যান্টিন থাকার সুবিধাই আলাদা। ঠিকঠাক দামে ভাল খাবার পাওয়া যায়।’’ মণ্ডলকুপি থেকে ব্লক অফিসে কাজে আসা শান্তনু সিংহেরও বক্তব্য, “খাবারের স্বাদ বেশ ভাল। মনে হয় বাড়িতেই খেলাম।’’

Advertisement

এই ক্যান্টিনে ভাত, ডাল, সব্জি আর ডিম মেলে ৩৫ টাকায়। ভাত, ডাল, সব্জি, মাছের দাম ৪০ টাকা। তাছাড়া চা, বিস্কুট, ঠান্ডা পানীয়ও পাওয়া যায়। ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অমৃতা সিংহ বলেন, “সবে এক মাস হয়েছে তো, তাই এখনও বহু মানুষ ক্যান্টিন রয়েছে বলে জানেন না। ধীরে ধীরে জানলে ভিড় বাড়বে। তখন আমরাও নতুন নতুন খাবার বানাব। আশা করি, আরও লাভ হবে।” গোষ্ঠীর ১২ জন সদস্য অবশ্য একদিনে আসেন না। ৬ জন করে ভাগ করে চালান ক্যান্টিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement