Coronavirus in Midnapore

১৪ পরিযায়ী করোনা আক্রান্ত

নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এর পরেও সোমবার সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জেলায় আরও ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ০৩:০১
Share:

প্রতীকী ছবি

আরও পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা আক্রান্তের খবর মিলল পূর্ব মেদিনীপুরে।

Advertisement

নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এর পরেও সোমবার সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জেলায় আরও ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট এসেছে। এঁদের মধ্যে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের সরদার দু’জন, বামুনিয়ার একজন, কাঁথি-৩ ব্লকের একজন, কাঁথি-১ ব্লকের একজন, ভগবানপুর-২ ব্লকের ৫ জন, চণ্ডীপুরের ৪ জন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, সকলে ভিন রাজ্য থেকে ফিরে সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গত ২৭ মে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে তাঁদের শরীর থেকে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার উপ-স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্রকুমার সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে এঁদের শরীর থেকে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সোমবার মোট ১৪ জনের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট হাতে এসেছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে অসন্তোষ ক্রমশঃ বাড়ছে। কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারস সংগ্রহ করায় ঢিলেমি করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। এর ফলে বিভিন্ন জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা কোয়রান্টিন কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি পালিয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, নন্দকুমার ব্লকের পুয়াদা জুনিয়র হাই স্কুলে ২৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক বেশ কয়েদিন ধরে ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, এক সপ্তাহের বেশি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে থাকার পরেও লালারসর নমুনা নেওয়া হয়নি। তারপরে তাঁরা নিজেরাই স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে লালারসের নমুনা দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেও তাঁদের ফেরত পাঠানো হয় বলে দাবি।

এ ব্যাপারে পুর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, এককালীন বেশী সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরায় নমুনা সংগ্রহ কিছুটা গতি হারিয়েছে। তবে কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে আপাতত নিয়মিত পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠানোয় সেই সমস্যা থাকবে না বলেই আশাবাদী তাঁরা।

এদিকে, কিছুটা হলেও চাপ কমছে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে। শতাধিক শয্যা বিশিষ্ট লেভেল-ফোরের ওই হাসপাতালে আগে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হচ্ছিল। ফলে সেখানে চাপ হাড়ছিল। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে নতুন করে লেভেল-ফোরের একটি করোনা হাসপাতাল হওয়ায় বড়মা আপাতত কিছুটা চাপ মুক্ত।

পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত শুক্রবার শেষবার বড়মায় পশ্চিম মেদিনীপুরের রোগী ভর্তি করা হয়েছিল। এ দিন রোগমুক্ত হয়ে বড়মা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৪ জন। বর্তমানে বড়মায় ৪৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন