প্রতীকী ছবি।
পরিকল্পনামাফিক মেদিনীপুরে কালেক্টরেট চত্বরে গড়ে উঠেছে ভেষজের (ঔষধি) বাগান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অমৃতকল্প’। আজ, বৃহস্পতিবার এই বাগানের উদ্বোধন হওয়ার কথা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ১৮০ রকমের গাছ রয়েছে ওই বাগানে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পাশাপাশি ভিন্ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেও গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখানে ভেষজ সংক্রান্ত একটি গবেষণা কেন্দ্রও গড়ে ওঠার কথা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুব্রত গুপ্ত, জেলাশাসক রশ্মি কমল, অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌর মণ্ডল প্রমুখের। জেলাশাসক বলেন, ‘‘কালেক্টরেট চত্বরের একটি জায়গায় ভেষজের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। ওখানে অনেক রকম গাছ রয়েছে।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌর মণ্ডল জানান, ওখানে তিনটি গ্রিন হাউস তৈরি করা হয়েছে।
কালেক্টরেট চত্বরের উত্তর- পশ্চিম দিকে অনেকটা ফাঁকা জায়গা ছিল। জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। নোংরা- আবর্জনা পড়ে থাকত। সেই জায়গার হাল ফিরিয়েই ভেষজের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সেখানে প্রায় তিন একর জায়গা রয়েছে। এখানে এমন বাগান তৈরির পরিকল্পনার শুরুটা কেমন? জানা যাচ্ছে, গত বছর কালেক্টরেট চত্বরের ওই জায়গার অদূরে এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হয়েছিল।
তারপরেই অতিরিক্ত জেলাশাসক ওই পরিত্যক্ত জায়গার বিষয়টি জেলাশাসকের নজরে এনে সেখানে ভেষজের বাগান তৈরির প্রস্তাব দেন। সবদিক দেখে সবুজ সঙ্কেত দেন জেলাশাসক। এরপরই পরিকল্পনা তৈরি শুরু হয়। সহায়তায় এগিয়ে আসে জেলার উদ্যানপালন দফতর। কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেখানে আমলকি, হরিতকি, বহড়ার পাশাপাশি ব্রাম্ভি, পুদিনা, এজেল প্রভৃতি গাছও রয়েছে। গাছের ফাঁকে ফাঁকে লতাগুল্ম রয়েছে।
ঔষধি গাছের চাষ, পরিচর্যা এবং ওই গাছ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য মেদিনীপুরে বন দফতরের একটি স্বাধীন ডিভিশন রয়েছে। গবেষণা কেন্দ্রের পরিকল্পনা কার্যকর হলে এটি মেদিনীপুরে ভেষজের দ্বিতীয় গবেষণা কেন্দ্র হবে।
এখানে চাষে কোনও রকম রাসায়নিক প্রয়োগ করা হবে না। পরবর্তীতে গাছের বৃদ্ধি হবে। জানা যাচ্ছে, চাষ করা গাছগুলি ওষুধ কিংবা প্রসাধন তৈরির সংস্থাকে বিক্রি করা হতে পারে।