কাঁথি উপ-সংশোধনাগার থেকে দুই বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় দুই কারা কর্মীকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। দেবদুলাল জানা ও দিলীপ চন্দ্র নামে ওই দুই কর্মীকে আগেই সাসপেন্ড করেছিল কারা দফতর। সাব জেলার সুরজিৎ বিশ্বাস বুধবার কাঁথি থানায় পলাতক দুই বন্দি কর্ণ বেরা ও শেখ নাজির হোসেনের পাশাপাশি এই দুই কারা কর্মীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানান। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, কর্তব্যে গাফিলতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে হাজির করানো হলে দু’জনেই অবশ্য জামিন পেয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘বন্দি পালানোর ঘটনায় ধৃত দুই কারা কর্মীর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
বন্দি পালানোর ঘটনাটি ঘটেছিল সোমবার রাতে। মঙ্গলবার ভোরে কাঁথি উপ-সংশোধনাগারে কয়েদি গণনার সময় নজরে আসে, দুই বন্দি কর্ণ ও নাজির নেই। মহিষাদলে রাতে টহলদারি পুলিশ কনস্টেবল খুন এবং একাধিক ব্যাঙ্ক ডাকাতি, পেট্রোল পাম্পে লুঠের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল কর্ণ। আর নাজিরের বিরুদ্ধে দিঘায় ঠিকাদার খুনের অভিযোগ রয়েছে। কর্ণ এর আগেও দু’বার সংশোধনাগার ও আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। কাঁথি উপ-সংশোধনাগার সূত্রে খবর, দুই বন্দি পালানোর রাতে দেবদুলাল পুরুষ ওয়ার্ডের পাহারায় এবং দিলীপ সংশোধনাগারের প্রধান ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ফলে, তাঁদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে কর্ণ ও নাজির পালিয়ে গেল সেই প্রশ্ন উঠেছে।
তা ছাড়া, ওই দুই বন্দি পালিয়েছে জেলের জানলার রড কেটে। ফলে, সে ক্ষেত্রে কর্তব্যরত কারা কর্মীরা কেন সেই শব্দ শুনতে পেলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কাঁথি উপ-সংশোধনাগার সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, কয়েক দিন ধরেই ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সেই সোঁ-সোঁ শব্দের সঙ্গে চারিদিকের অন্য শব্দও রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই পালিয়েছে দুই বন্দি।