দড়িতে ধাক্কা, তলিয়ে গেলেন নৌকো যাত্রী

খেয়া পারাপারের জন্য নদীর উপরে টাঙানো দড়ি মাথায় লেগে নদীতে পড়ে গেলেন দুই যাত্রী। বুধবার ঘাটালের শিলা রাজনগর নদীঘাটের এই ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে উত্তম সাঁতরা নামে একজনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৭
Share:

নদীর এখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।

খেয়া পারাপারের জন্য নদীর উপরে টাঙানো দড়ি মাথায় লেগে নদীতে পড়ে গেলেন দুই যাত্রী। বুধবার ঘাটালের শিলা রাজনগর নদীঘাটের এই ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে উত্তম সাঁতরা নামে একজনকে। মদনমোহন সানকি নামে আর এক প্রৌঢ় অবশ্য এখনও নিখোঁজ। তাঁর সন্ধানে শিলাবতী নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “নৌকা থেকে পড়ে একজন নিখোঁজ। আর একজনকে উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল দশটা নাগাদ ঘাটালের সাহেব ঘাটে বালি বোঝাই একটি নৌকা হুগলি বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটিতে চারজন ছিলেন। জানা গিয়েছে, শিলা রাজনগরের কাছে শিলাবতী নদীর উপরে পারাপারের জন্য টাঙানো থাকে মোটা দড়ি। এদিন ওই দড়ি মাথায় লেগেই বালি বোঝাই নৌকা থেকে দু’জন শিলাবতী নদীতে পড়ে যান। ভরা বর্ষায় শিলাবতী নদী খরস্রোতা। ফলে একজনকে স্থানীয়রা তড়াঘড়ি উদ্ধার করলেও খোঁজ মেলেনি মদনমোহনবাবুর। আনুমানিক বছর পঞ্চাশের মদনমোহনবাবুর বাড়ি হুগলির খানাখুলের টুঙিরঘাটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ মাঝি। পৌঁছন ঘাটাল ও দাসপুর থানার পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশিও। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মদনমোহনবাবুর খোঁজ মেলেনি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নদী পারাপারের জন্য শিলা রাজনগর নদী ঘাটে একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। সম্প্রতি কচুরি পানার দাপটে সাঁকোটি নদীতে ভেসে যায়। শিলাবতী-সহ অনান্য নদীতে পারাপারের জন্য নদীর দুই পাড়ে একটি মোটা লাইলনের দড়ি টাঙানো থাকে। গ্রীষ্মকালে এবং নদীতে অল্প জল থাকলে অস্থায়ী সাঁকো দিয়েই পারাপার করেন স্থানীয় মানুষ। আর বর্ষাকালে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো এমনিতেই ভেসে যায়। তখন দড়ি ধরেই স্থানীয় মানুষ পারাপার করেন। এটাই দস্তুর। এ দিন ওই দড়ি থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম উত্তম সাঁতরা বলেন, “আমরা সাহেব ঘাট যাওয়ার সময় দড়িটি দেখেছিলাম। সেই সময় দড়িটা হাত দিয়ে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু ফেরার সময় আর খেয়াল ছিল না। এতদিন নৌকা করে যাতায়াত করছি। কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন