—প্রতীকী চিত্র।
গুজরাতে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিক। মৃতদের নাম প্রণব দিন্দা (২৫) এবং চন্দন দাস (২৯)। সোমবার দুই শ্রমিকের পরিবারে তাঁদের মৃত্যুসংবাদ আসার পর থেকে শোকস্তব্ধল গোটা এলাকা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে গুজরাত থেকে প্রণব এবং চন্দনের দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে।
নন্দীগ্রামের ওই দুই যুবক দীর্ঘ দিন ধরেই গুজরাতের কচ্ছের পাডানাতে একটি কারখানায় কাজ করতেন। গত শনিবার ওয়েল্ডিংয়ের কাজের সময় আচমকাই কারখানার একটি বয়লারে বিস্ফোরণ হয়। এর জেরে নন্দীগ্রামের দুই শ্রমিক গুরুতর জখম হন। কারখানার কর্তৃপক্ষের তরফে দু’জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে জানায়। সোমবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুরে প্রণবের বাড়িতে মৃত্যুসংবাদ পৌঁছনোর পর শোকে মুহ্যমান গোটা পাড়া। প্রণবের বাবা শারীরক প্রতিবন্ধী, মা-ও অসুস্থ। বাবা-মায়ের চিকিৎসা থেকে পরিবারের অন্ন সংস্থান হত প্রণবের রোজগারের অর্থে।
অন্য দিকে, বিবাহিত চন্দন দাসের এক ছেলে এবং এক মেয়ে। ছেলে ছোট। তার বয়স মাত্র ৪ বছর। মেয়ে ৯ বছরের। চন্দনের স্ত্রীকে মৃত্যুসংবাদ দেননি প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, পরে ওই দুঃসংবাদ জানাবেন। এই ধাক্কা সহজে সামলাতে পারবেন না উনি। তার জন্য গ্রামের বাসিন্দারা পালা করে চন্দনের বাড়ির সামনে পাহারা দিচ্ছেন। প্রণবের বাবা উত্তম দিন্দা বলেন, ‘‘গুজরাতে কাজে গিয়ে একমাত্র ছেলেটা চলে গেল। শুনলাম, ওর মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার দেহ বাড়িতে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে। কী নিয়ে বাঁচব জানি না।’’