শিলাবতীর সাঁকো মেরামতে ২৬ লক্ষ

শিলাবতী নদীর উপর জরাজীর্ণ এক কাঠের সাঁকো। প্রাণ হাতেই পারাপার হন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ষার আগেই লাখাটা পোল নামে গড়বেতার সেই সাঁকো মেরামতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

সৌমেশ্বর মণ্ডল

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ০০:৩৮
Share:

জীর্ণ: শিলাবতীর উপর এখন সাঁকোর হাল এমনই। নিজস্ব চিত্র

শিলাবতী নদীর উপর জরাজীর্ণ এক কাঠের সাঁকো। প্রাণ হাতেই পারাপার হন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্ষার আগেই লাখাটা পোল নামে গড়বেতার সেই সাঁকো মেরামতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের বরাদ্দ টাকায় এই কাজ করবে স্থানীয় প্রশাসন। গড়বেতা ১-এর বিডিও বিমলকুমার শর্মা বলেন, ‘‘সাঁকো মেরামতের জন্য ২৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।’’

Advertisement

গড়বেতা-১ ব্লকের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। এক দিকে খড়কুশমা, মঙ্গলাপোতা, অন্য দিকে শ্যামনগর, বড়মুড়ার এলাকা। বিস্তীর্ণ এই অঞ্চলে যাতায়াতের ভরসা ওই সাঁকো।

দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে সাঁকোটির এখন জরাজীর্ণ দশা। নদীর এ পারে স্কুল, কলেজ, থানা, ব্লক অফিস, রেলস্টেশন, হাসপাতাল থাকায় বহু মানুষই ঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক এই সাঁকো পারাপার করেন। এই পথে গড়বেতা থেকে সন্ধিপুর, চমকাইতলা, আমারবাগ অনেক কম সময়ে পৌঁছনোও যায়।

Advertisement

মংলাপোতা গ্রামের বাসিন্দা অসিত কদমা বলছিলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই এই নড়বড়ে সেতু দিয়ে প্রাণ হাতে যাতায়াত করছি। প্রশাসনকে বহুবার জানিয়েও লাভ হয়নি।’’ লাখাটা পোল এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদিরাম মাঝিরও বক্তব্য, ‘‘বাহাদুরগঞ্জ, দেউলকুণ্ডা, মাজারিয়া, খামডিহা এলাকার ছেলেমেয়েরা এই সেতু দিয়ে মংলাপোতা বিদ্যালয়, গড়বেতা কলেজে যাতায়াত করে। বর্ষার আগে সাঁকো মেরামত করা জরুরি।’’ স্থানীয় বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘আমি নিজে সাঁকো পরিদর্শন করে প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করি বর্ষার আগেই মেরামতের কাজ
শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন