দাবি টাকা না দেওয়ায় হাওড়া থেকে বেঙ্গালুরুগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে তিন যাত্রীকে জিআরপি’র মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মেচেদা স্টেশনে।
সোমবার রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে ওঠেন তমলুকের ডিমারি এলাকার বাসিন্দা একদল যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুই জিআরপি পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে পাঁশকুড়া জিআরপি’র পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা মেচেদা স্টেশনে আসেন। যদিও ক্ষুদ্ধ ওই যাত্রীরা দুই জিআরপি কর্মীকে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরঙ্গখালি গ্রামের বাসিন্দা প্রায় ৭০ জন এক ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিকের কাজে বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সাধারণ যাত্রীর টিকিট কেটেছিলেন। ওই শ্রমিকরা সোমবার রাতে যশোবন্তপুর এক্সপ্রেসে ওঠেন। ওই শ্রমিকদের অভিযোগ, ‘‘কয়েকজন জিআরপি ট্রেনের সংরক্ষিত আসনে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছিল। কিন্তু ট্রেনে মেচেদার দিকে আসার পথে ফের দুজন কর্মী আমাদের কাছে টাকা চান । টাকা না দেওয়ায় তিন জনকে মারধর করে ওই দুই জিআরপি কর্মী। ’’
জিআরপি’র এক আধিকারিকের অবশ্য দাবি, ওই যাত্রীদের কয়েকজন সাধারণ কামরার টিকিট কেটে সংরক্ষিত কামরায় উঠে যাচ্ছিলেন। সেজন্য ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক তাঁদের জরিমানা করেছিলেন। যাত্রীদের কাছ থেকে জিআরপি কর্মীদের টাকা নেওয়া এবং যাত্রীদের মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।
মঙ্গলবার সকালে মেচেদা স্টেশনে বুকিং কাউন্টারের সামনে ফের ওই যাত্রীরা দুই জিআরপি’র শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ওই যাত্রীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পাঁশকুড়া জিআরপি থানার আধিকারিক ও মেচেদা স্টেশন ম্যানেজারের আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মেচেদার রেলস্টেশন ম্যানেজার শম্ভুনাথ ঘোড়ই বলেন, ‘‘যশোবন্ত এক্সপ্রেসে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের সঙ্গে জিআরপি’র কিছু সমস্যা হয়েছিল। তবে ওই যাত্রীরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাননি। যাত্রীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’