প্রতীকী ছবি।
তখন সন্ধ্যা গড়িয়েছে। বল্লভপুর মোড়ে এসে আচমকা কুকুরের কামড় খান অমল দাস। তাঁর কথায়, “বাচ্চাকে নিয়ে চকলেট কিনতে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ কুকুরটা আক্রমণ করে। বাচ্চাকে নিয়ে রাস্তায় পড়েও যাই। কুকুরটা পাগল বলেই মনে হল।” এক- দু’জন নয়, পাগল কুকুরের কামড়ে জখম হলেন অন্তত ৩০ জন। মেদিনীপুর শহরের ঘটনা।
শুক্রবার সন্ধ্যার পরে শহরের একটা বড় অংশ জুড়ে দাপিয়ে বেড়ায় কুকুরটি। আচমকাই স্থানীয়দের কামড়াতে শুরু করে। স্বভাবতই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে শহরে। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতির আশ্বাস, “বিষয়টি দেখছি। যা পদক্ষেপ করার করা হবে।” স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্তার আশ্বাস, “পাগল কুকুর ধরতে পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে বন দফতরের সাহায্য নেওয়া হবে।”
কুকুরের কামড়ে জখমেরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। মেদিনীপুর শহরের হোসনাবাদ, বড়বাজার, মানিকপুর, ছোটবাজার প্রভৃতি এলাকায় ঘুরতে থাকে পাগল কুকুরটি। জখমদের প্রাথমিক চিকিত্সার পরে অ্যান্টি র্যাবিস দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। এর আগে শহরের পালবাড়ি এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেই বার কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছিলেন অন্তত ১৪ জন। জখম এক যুবকের কথায়, “কুকুরের এমন উত্পাত চলতে থাকলে তো সমস্যা। অনেক সময় হাসপাতালে অ্যান্টি র্যাবিস পর্যাপ্ত মজুতও থাকে না।”