Jhargram

জঙ্গলের আগুন নেভাতে লড়ছেন চার মূর্তি

ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘ওই চার যুবকের মতো সবাই সচেতন হয়ে এগিয়ে এলে জঙ্গলে আগুন লাগানোর প্রবণতা আটকানো যাবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০১:০৫
Share:

সচেতন: চলছে আগুন নেভানোর কাজ। নিজস্ব চিত্র

শুশুনিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে লকডাউনের মধ্যেও জঙ্গলের আগুন নেভাতে লড়ছেন ওঁরা চারজন। ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে বোঝাচ্ছেন, জঙ্গলে আগুন লাগালে কীভাবে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণের ক্ষতি হয়।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা ওই চার যুবক ভিন্ন পেশার। ঝাড়গ্রাম গ্রামীণের বাঁধগোড়া অঞ্চল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তমাল চক্রবর্তী, ক্যারাটে-প্রশিক্ষক গৌরাঙ্গ পাল, দুই ব্যবসায়ী শিবাজি বসু ও মিঠুন কর। অভাবীদের কাছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, লকডাউনের সুযোগ নিয়ে জঙ্গলের গাছপালা কেটে নিচ্ছে কিছু অসাধু লোক। তার আগে জঙ্গলের ঝরা পাতায় আগুন দেওয়া হচ্ছে। এতে জঙ্গলের সবুজ নষ্টের পাশাপাশি, বন্যপ্রাণী ও সরীসৃপরা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগে তমালরা ঝাড়গ্রাম গ্রামীণের অন্তপাতির জঙ্গল রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খবর পান জঙ্গল জ্বলছে। তমাল, গৌরাঙ্গরা জানান, গাছের শুকনো ডাল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। শেষে আগুনের নিদিষ্ট এলাকার চার পাশে লাঠি দিয়ে গণ্ডি টেনে ফুট চারেক ব্যাস জুড়ে শুকনো পাতা সরানো হয়। আধঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভে। তমাল বলেন, ‘‘দমকলে ফোন করে দায় সারতে চাইনি। সামাজিক দায় থেকেই আগুন নিভিয়েছি।’’

তার পর থেকে কোথাও ঝরা পাতায় সামান্য আগুন দেখলেও নিভিয়ে ফেলছেন ‘চারমূর্তি’। ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘ওই চার যুবকের মতো সবাই সচেতন হয়ে এগিয়ে এলে জঙ্গলে আগুন লাগানোর প্রবণতা আটকানো যাবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement