হাসপাতালে জখম।-নিজস্ব চিত্র।
জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের অশান্তিতে জখম হলেন পাঁচজন। সোমবার দুপুরে খড়্গপুর শহরের ঝুলিতে শিবমন্দির সংলগ্ন প্রায় ৯ ডেসিমেল ওই জমি নিয়ে অশান্তি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার হাতাহাতি বেধে যায়। তখনই জখম হন সুরেশলাল শঙ্কর, তাঁর ছেলে অভিষেক, বোন হেল্লা বাই-সহ একই পরিবারের পাঁচজন। জখমদের নিয়ে যাওয়া হয় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে হেল্লা বাইকে পরে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হয়। হাসপাতালেও বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা।
ঝুলি এলাকায় স্থানীয় রামকুমার যাদবের প্রায় ৯ ডেসিমেল জমি রয়েছে। রামকুমারের মৃত্যুর পরে জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। বহু দিন ধরে ওই জমির দখল নিয়েছেন পাশের বাড়ির বাসিন্দা সুরেশলাল শঙ্কর। তাঁর দাবি, জমির কিছু নথিও হাতে রয়েছে। সম্প্রতি মতিচকের বাসিন্দা শিবনাথ শঙ্কর ওরফে কাল্লু আবার দাবি করেন, ওই জমির কিছু অংশ তিনি কিনেছেন। তাঁর কাছেও জমির নথি রয়েছে। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি চলছে।
এ দিন শিবনাথের আবেদনে ওই জমি মাপজোক করতে আসেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের লোকেরা। তখন গোলমাল শুরু হয়। খবর পেয়ে আসে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। পুলিশ দেখে বিক্ষোভ শুরু করেন সুরেশের পরিজনেরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি হয়। জখম হন পাঁজন। সুরেশের ছেলে অভিষেকের বক্তব্য, “ওই জমিতে আমরা বহু বছর ধরে রয়েছি। এখন কাল্লু, চন্দন শঙ্কর, সন্তোষ কুমার, সামরুদ শঙ্করেরা জমি দখল করতে চাইছে। আমরা বাধা দেওয়ায় পুলিশ ওদের পক্ষ নিয়ে আমাদের মেরেছে। কাল্লুরাও আমাদের যেভাবে পেরেছে পুলিশের উপস্থিতিতে মেরেছে।”
শিবনাথ ওরফে কাল্লু অবশ্য বলেন, “আমি রেলকর্মী। জমির প্রকৃত মালিকের থেকে প্রায় ৪ ডেসিমেল জমি কিনেছি। অথচ জমির দখল ছাড়ছেন না সুরেশ শঙ্কর। আমরা কাউকে মারিনি। বাধা দেওয়ায় পুলিশ ওঁদের মেরেছে।” পুলিশের দাবি, ভূমি দফতরের কাজে বাধা দেওয়ায় পুলিশকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে নিজেদের মধ্যে ঠেলাঠেলিতে কেউ জখম হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ কাউকে মারেনি।