তৃণমূল গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের আটজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃত সকলেই কেশিয়াড়ির বাঘাস্তি ও লালুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। বুধবার ধৃতদের মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
গত সোমবার কেশিয়াড়ির বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জগদীশ দাসের অনুগামীদের জমায়েত ছিল। সেই কর্মসূচিতে তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন জগদীশ অনুগামীরা। অভিযোগ, কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে জগদীশ অনুগামীদের সঙ্গে দলের কিষান খেতমজদুর সংগঠনের মহকুমা সভাপতি ফটিক পাহাড়ির অনুগামীদের সংঘর্ষ বাধে। জখম হন দু’পক্ষের পাঁচ জন। সেই রাতেই পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জগদীশ অনুগামীরা ফটিক-সহ ২৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। ফটিক অনুগামীরাও জগদীশ-সহ ২২জনের নামে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরেই পুলিশ কালীপদ দাস, সুধাংশু রানা সমীর দাস, প্রদীপ দাস-সহ আটজনকে গ্রেফতার করে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জগদী বলেন, “আমাদের লোকেরা মার খেয়েছে। আবার তাদের নামেই অভিযোগ হয়েছে। পুলিশের তদন্ত করে দেখা উচিত।” একই সুরে ফটিকের বক্তব্য, “আমি ওই ঘটনার সময়ে মেদিনীপুরে ছিলাম। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা শান্ত থাকার চেষ্টা করছি। পুলিশকে তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।”