Robbery Case

কাঁথিতে ডাকাতির ঠিক আগে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ছয় ডাকাত! উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও নানা যন্ত্রপাতি

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর এলাকায় বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি জড়ো হয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ওই এলাকায় পৌঁছে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৭
Share:

ডাকাতির আগে ধরা পড়ে ছ’জনকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশি তৎপরতায় ডাকাতির আগেই ধরা পড়ল একদল ডাকাত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর এলাকায় অভিযান চালায়। তাতেই ধড়া পড়ে ডাকাতদলটি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি দেশি পিস্তল। এ ছাড়াও বাড়ির তালা এবং গ্রিল ভাঙার বেশ কিছু যন্ত্রপাতি মিলেছে অভিযুক্তদের কাছে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর এলাকায় বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি জড়ো হয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ওই এলাকায় পৌঁছে যায়। ডাকাতদলের প্রতিটি সদস্য পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের তাড়া করে। তাতে পাকড়াও হন ছ’জন। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতির লক্ষ্যেই তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও উদ্ধার হয় অভিযুক্তদের কাছ থেকে।

জানা গিয়েছে, ধৃত ছ’জনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। ধৃতদের মধ্যে আছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার এলাকার বাসিন্দা আলেম খান, রতন দোলুই এবং হৃষিকেশ শাসমল। খেজুরি থানার বাসিন্দা মিন্টু ডুকাট, কাঁথির ফুলেশ্বর এলাকার সমীর দাস এবং মারিশদার তাপস শাসমল। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। সওয়াল জবাবের পর পুলিশের আবেদন মেনে ধৃতদের ৮ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

কাঁথি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা কোন কোন এলাকায় কার কার বাড়িতে ডাকাতি করার লক্ষ্য নিয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। এর আগে ধৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটনোর অভিযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই ছ’জন ছাড়া এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement