কটূক্তির প্রতিবাদ, যুবককে মারধরের নালিশ তমলুকে

ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায় এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একদল যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে তমলুক শহরের শঙ্করআড়া এলাকার এই ঘটনায় জখমের নাম স্বপন সিংহ। তিনি তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৪
Share:

হাসপাতালে জখম যুবক।— নিজস্ব চিত্র।

ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায় এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একদল যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে তমলুক শহরের শঙ্করআড়া এলাকার এই ঘটনায় জখমের নাম স্বপন সিংহ। তিনি তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নার গড়সাফাত গ্রামের বাসিন্দা বছর একত্রিশের স্বপন বছর পনেরো ধরে শঙ্করআড়া এলাকায় ভাড়া রয়েছেন। তিনি পেশায় হলদিয়ার একটি কারখানার গাড়ি চালক। শহরের শঙ্করআড়ায় এলাকায় একটি উচ্চ-মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সংলগ্ন খালের উপর সেতুর কাছে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে একদল যুবক বেশ কিছুদিন ধরেই মহিলাদের কটূক্তি করছিল বলে অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে রোজ পুলিশি টহলও চলে। অভিযোগ, সোমবার রাতে স্বপন ওই যুবকদদের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী মহিলাদের কটূক্তি করতে বারণ করে। আর তারপরই ওই যুবকরা দল বেঁধে স্বপনকে ধরে মাটিতে ফেলে লাথি, কিল, ঘুষি মারতে শুরু করে। এমনকী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে স্বপনের মাথা ঠুকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

ঘটনাস্থলে ছুটে এসে স্থানীয়রা স্বপনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্বপনের মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে। সোমবার রাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন স্বপন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বপন বলেন, ‘‘ওই ছেলেগুলো বেপোরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালায়। আবার স্কুলের সামনে আড্ডা দেওয়ার সময় মহিলাদের দেখে অশালীন মন্তব্য করে। আমি ওদের মহিলাদের উত্ত্যক্ত করতে বারণ করেছিলাম। তারপরই ওরা আমার ওপর হামলা চালায়।’’

Advertisement

কমর্সূত্রে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী শহরের বছর পঁচিশের এক তরুণীর কথায়, ‘‘দিন পাঁচেক আগে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন আমাকে কটূক্তি করেছিল।’’ এক স্কুল ছাত্রীর মায়ের গলাতেও চিন্তার সুর। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকের কাছ থেকে মেয়েকে পড়িয়ে ফেরার সময় আমি ওই রাস্তা পারতপক্ষে এড়িয়ে চলি।’’ এমন ঘটনার পর পুলিশ শুধুমাত্র অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই দায় এড়িয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন