Child Marriage

নিজের বিয়ে আটকে ‘নায়িকা’, কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ‘বীরাঙ্গনা’

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিল পরিবার। নাবালিকা পড়া ছেড়ে বিয়েতে অনিচ্ছুক থাকার জন্য তাকে স্কুলে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৫ ০২:৩৪
Share:

পুলিশের সঙ্গে কর্মাধ্য়ক্ষ শান্তি টুডু। —নিজস্ব চিত্র।

নিজের বিয়ে আটকে ‘নায়িকা’ দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। বাড়ির বেআইনি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বুধবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের ‘বীরাঙ্গনা’। প্রশাসনিক তৎপরতায় আসে সাফল্য। সেই সাহসী কন্যাকে বিচক্ষণতা ও সচেতনতার জন্য কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Advertisement

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিল পরিবার। নাবালিকা পড়া ছেড়ে বিয়েতে অনিচ্ছুক থাকার জন্য তাকে স্কুলে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল মোবাইল। কোনও রকমে অন্য একটি মোবাইল জোগাড় করে কেশপুর এলাকার পরিচিত এক ব্যক্তিকে ফোন করে সে। তবে গ্রামের নাম টুকুই বলতে পেরেছিল নাবালিকা। তার পর বিপদ আঁচ করে ফোন কেটে দেয়। সেখান থেকে খবর যায় কেশপুর থানায়। জেলা পরিষদের শিশু-নারী-জনকল্যাণ ও ত্রাণ দফতরের স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শান্তি টুডু-ও জানতে পারেন গ্রামে নাবালিকা বিয়ের তোড়জোড় চলছে। এর পরে পুলিশ ও শিশু কল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে যান। প্রশাসনের পদক্ষেপে নাবালিকার পরিবার লিখিত ভাবে মুচলেকা দিয়ে জানায়, ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া বেআইনি, তাই এখনই তারা মেয়ের বিয়ে দেবেন না। যাতে মেয়ে পড়াশোনা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

কর্মাধ্যক্ষ বলেন, ‘‘নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল জানতে পেরে ওই গ্রামে গিয়ে তা আটকেছি। কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাকে।’’ জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, ‘‘বিয়ে আটকানোর জন্য দুপুরে শিশু কল্যাণ দফতরের প্রতিনিধি দলকে নাবালিকার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।’’ জেলা শিশু কল্যাণ দফতরের আধিকারিক সন্দীপ দাস বলেন, “দশম শ্রেণিতে পড়া এক নাবালিকার বিয়ে আটকানো হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement