খন্দপথে মরণফাঁদ, কাঠগড়ায় পুরসভা

জলের কাজের জন্য পুরসভার খুঁড়ে রাখা গর্তে পড়ে ক’দিন আগেই প্রাণ গিয়েছে দুই বালকের। টনক নড়েনি তাতেও। খড়্গপুরে বিদ্যাসাগরপুর থেকে ঝরিয়া যাওয়ার বেহাল রাস্তায় বিপজ্জনক একটি গর্ত এখনও মরণফাঁদ হয়ে রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৭ ০১:২৩
Share:

বিপদ: স্ল্যাব ভেঙে বিপজ্জনক গর্ত খড়্গপুরের রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র

জলের কাজের জন্য পুরসভার খুঁড়ে রাখা গর্তে পড়ে ক’দিন আগেই প্রাণ গিয়েছে দুই বালকের। টনক নড়েনি তাতেও। খড়্গপুরে বিদ্যাসাগরপুর থেকে ঝরিয়া যাওয়ার বেহাল রাস্তায় বিপজ্জনক একটি গর্ত এখনও মরণফাঁদ হয়ে রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এই রাস্তাটি দীর্ঘ দিন বেহাল। খড়্গপুর পুরসভা না মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ), কে কাজ করবে তা নিয়ে তরজা চলছেই। এরই মধ্যে এই সড়কের মাঝে জলের পাইপ লাইনের ভালভের জন্য করা গর্তের কংক্রিটের ঢাকনা ভেঙে যাওয়ায় বড়সড় একটি গর্ত হয়ে গিয়েছে। সামান্য অসচেতন হলেই সেই গর্তে মোটরসাইকেল, সাইকেল নিয়ে উল্টে পড়ে বিপদ হতে পারে। রাতের অন্ধকারে অচেনা লোকজন ওই গর্ত দেখতে না পেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ট্রাক, গাড়ির চাপে গর্ত আরও বড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ কিছুতেই গর্ত মেরামত করা হচ্ছে না। গর্তের চারদিক ঘিরে সঙ্কেতবাহী লাল কাপড়ের ঝান্ডাও লাগানো হয়নি। তাই বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই রাস্তার ধারেই ঝরিয়ায় গর্তে পড়ে মারা গিয়েছিল দুই বালক। তারপর তড়িঘড়ি জলের পাইপ লাইনের জন্য খোঁড়া গর্ত ভরাটের পাশাপাশি ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। ঝরিয়ার ওই এলাকা থেকে দু’শো মিটার দূরেই বিদ্যাসাগরপুরের রাস্তার বিপজ্জনক গর্তটি। স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পিয়ার আলি বলেন, “রাতে টিমটিম করে আলো জ্বলে। তখন গর্ত চোখে দেখা যায় না।”

Advertisement

খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “বিদ্যাসাগরপুরের রাস্তায় গর্তের বিষয়ে খোঁজ নেব। তবে ওই রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ জানি। এমকেডিএ-কে বিদ্যাসাগরপুর ও জফলার সড়কের জন্য বলেছিলাম। ওঁরা জফলা সড়কের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। আমরাই বিদ্যাসাগরপুরের সড়ক সংস্কার করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement