ফের গণধর্ষণ, প্রশ্নে নিরাপত্তা

রবিবার দুপুরে ডেবরা থানা এলাকায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পুকুর পাড়ে মদের আসরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডেবরা শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০১
Share:

এই নির্জন জায়গায় গণধর্ষণ হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

দিন দু’য়েক আগেই জেলায় মহিলাদের নিরাপত্তায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে ডেবরায় উঠল গণধর্ষণের অভিযোগ।

Advertisement

রবিবার দুপুরে ডেবরা থানা এলাকায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পুকুর পাড়ে মদের আসরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পাঁচ যুবক গ্র‌েফতার হলেও আতঙ্ক কাটছে‌ না স্থানীয়দের। কারণ, গত কয়েক মাসে এই ব্লকে একাধিক গণধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গত ৭ জুলাই রাধামোহনপুরের এক তরুণীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আবার দুর্গাপুজোর সময় বালিচকে প্রতিমা দর্শনে আসা কেশপুরের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তাতেও অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়।

মহিলাদের অভিযোগ, ডেবরা ব্লকের বিভিন্ন এলাকা দিনের বেলায় নির্জন থাকে। এই নির্জনতার সুযোগে বসে মদ-গাঁজার আসর। সেই সঙ্গে বাড়ছে ইভটিজিং, যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। রবিবার মদের আসরেই ওই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পুলিশি টহলদারি না থাকায় এমন ঘটনার প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ। বালিচকের হরিহরপুর এলাকার বাসিন্দা নন্দিতা চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের ডেবরার বিভিন্ন রাস্তা দুপুর ও সন্ধ্যায় নির্জন হয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে আমি চাকরি থেকে স্কুটি চালিয়ে খুব আতঙ্কে বাড়ি ফিরি। পুলিশি টহলদারি দেখি না। আমরা চাই, ঘটনার পরে গ্রেফতার নয়। এমন ঘটনা রুখতে ব্যবস্থা নিক পুলিশ।”

Advertisement

জানা গিয়েছে, মুচিপুকুরে একসময়ে একটি প্রস্তাবিত পার্ক গড়ার কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ায় এখন সেখানে ঝোপে পরিণত হয়েছে। সেখানেই প্রতিদিন বসে মদ-গাঁজার আসর। এ বার তারই মাসুল দিতে হয়েছে এই তরুণীকে। ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। দলের জেলা সহ-সভাপতি কাশীনাথ বসু বলেন, “প্রতিটি এলাকা অত্যন্ত নির্জন। তার উপরে যুবকেরা কাজ না পেয়ে নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছে। সঙ্গে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। তাই এমন সব ঘটনা ঘটছে।” ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক সেলিমা খাতুন বলেন, “আগের তুলনায় পুলিশ এখন দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করছে। তবে আমিও জানি, ব্লকের বহু এলাকা নির্জন। যেখানে আলোর অভাব আছে সেটা আমরা দেখব। পুলিশের সঙ্গেও আলোচনা করব।” খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “তিনটি গণ-ধর্ষণের ঘটনায় আমরাও উদ্বিগ্ন। কীভাবে সেটা কমিয়ে আনা যায় তার জন্য আমরা কিছু পদক্ষেপ করছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন