বিজেপি-মুকুলই ফের অভিষেকের নিশানায়

ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃণমূলের ডাকে ‘কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ও বিজেপির কুত্সা-অপপ্রচার এবং এফআরডিআই বিলের প্রতিবাদে’ ছিল এই কর্মসূচি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৭
Share:

স্বাগত: গোপীবল্লভপুরের সভায় অভিষেক। নিজস্ব চিত্র

প্রার্থী খুঁজতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ বার বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া মুকুল রায়কে ফের ‘চাটনিবাবু’ ও ‘জঞ্জাল’ বলে বিঁধলেন তিনি।

Advertisement

বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে তৃণমূলের সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সাংসদ অভিষেক। ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃণমূলের ডাকে ‘কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ও বিজেপির কুত্সা-অপপ্রচার এবং এফআরডিআই বিলের প্রতিবাদে’ ছিল এই কর্মসূচি। মকর সংক্রান্তির দিন তিনেক সভাস্থল ভিড়ে ঠাসা হওয়ায় গোড়াতেই অভিষেক বলেন, “মকর-পার্বণের আগে জঙ্গলমহলে কোনও দল রাজনৈতিক সভা করার সাহস দেখাতে পারে না। কিন্তু আমরা করেছি। মানুষের বিপুল উপস্থিতি প্রমাণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞের শরিক তাঁরা।”

তারপর আগাগোড়াই অভিষেকের নিশানায় ছিল বিজেপি। তাঁর অভিযোগ, জঙ্গলমহলে শান্তি ও উন্নয়নের পরিবর্তন করে অশান্তি বাধাতে চায় বিজেপি। দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিংহের নাম করলেও নাম করেই মুকুলকে ‘চাটনিবাবু’ ও জঞ্জাল বলে কটাক্ষ করেন। অভিষেকের কথায়, “আমাদের ফেলে দেওয়া জঞ্জালের বালতি তুলে বিজেপি এখন নাচানাচি করছে। দিলীপবাবুরা নতুন যে চাটনিবাবুকে দলে নিয়েছেন, তাঁর নেতৃত্বে একটা বুথ কমিটি তৈরি করতে ওদের একশো বছর লেগে যাবে।” অভিষেকের মতে, জঙ্গলমহলের জন্য কলেজ, সেতু, আদিবাসীদের উন্নয়ন বিজেপি-র চোখে পড়ে না। ওদের চোখে ছানি পড়েছে। চিকিত্সা দরকার। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম যেখানেই সভা করবে, সেখানেই রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল তার মোকাবিলা করবে বলে জানিয়ে দেন অভিষেক।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন