এসিজেএম আদালত পেল দাঁতন

মামলা রুজু করতে ৭০ কিলোমিটার দূরে জেলার সিজেএম আদালতে ছুটতে হত পুলিশকে। ধৃতকে জেলা আদালতে হাজির করতে হত। সেই ঝক্কি থেকে রেহাই পেলেন পুলিশ ও আইনজীবীরা। জেলার তিনটি থানার জন্য এসিজেএম আদালতের উদ্বোধন হল দাঁতনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

মামলা রুজু করতে ৭০ কিলোমিটার দূরে জেলার সিজেএম আদালতে ছুটতে হত পুলিশকে। ধৃতকে জেলা আদালতে হাজির করতে হত। সেই ঝক্কি থেকে রেহাই পেলেন পুলিশ ও আইনজীবীরা। জেলার তিনটি থানার জন্য এসিজেএম আদালতের উদ্বোধন হল দাঁতনে।

Advertisement

রবিবার ছুটির দিনেই শুরু হল দাঁতন এসিজেএম আদালতের পথ চলা। নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ছিলেন জেলা আদালতের বিচারক অনন্যা বন্দোপাধ্যায়, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, দাঁতন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস, সভাপতি পবিত্র চৌধুরী। ১৯৮৪ সালে দাঁতনের মুন্সেফ আদালত ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালতে উন্নীত হয়। এত দিন সেখানে দাঁতন, মোহনপুর ও বেলদা থানার জমি সংক্রান্ত, মারপিট, বধূ নির্যাতনের মতো ছোটখাটো মামলার বিচার চলত। ছিল জুনিয়র ডিভিশন সিভিল বিচারক ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফার্স্ট ক্লাসের এজলাস। কিন্তু মামলা রুজু করতে অথবা ধৃতকে হাজির করতে হত জেলা আদালতেই।

এ দিন বার অ্যাসোসিয়েশনের একটি ঘরেই আদালত শুরু হয়। নতুন ভবন তৈরির কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। নতুন ভবনের জন্য জায়গা এ দিনই দেখেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। প্রথম দিনই পাঁচজন ধৃতকে আদালতে তোলা হয়। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘আমাদের অসুবিধের কথা জেলা বিচারককে জানিয়েছিলাম। এখানে এসিজেএম আদালত হওয়ায় বেলদা, দাঁতন ও মোহনপুরের সুবিধে হবে।’’ জেলা বিচারক অনন্যা বন্দোপাধ্যায়েরও বক্তব্য, ‘‘আদালত মানুষের কাছে চলে এল। দাঁতন বার অ্যাসোসিয়েশন তাদের ঘর দিয়ে সাহায্য করেছে।’’ অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসকে। তিনি বলেন, “অনেক দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। আমরা খুব খুশি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement