তৃণমূল সর্বভুক, কটাক্ষ অধীরের

এদিন বৈঠকে পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান অধীরবাবু। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে তৃণমূল যে ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাতে এই জয় গুরুত্বপূর্ণ।’’ সাগরবাড় পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের দখলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ ০২:৩১
Share:

বুধবার কোলাঘাটে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র

কোলাঘাট ব্লকের সাগরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট জিতলেও পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে দুপক্ষই সংশয়ে। সংশয়ের কারণ তৃণমূলের সন্ত্রাস। এমনই অভিযোগ স্থানীয় কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্বের। দু’দলেরই অভিযোগ, ভোটের পরেও নানা ভাবে দলের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যেই বুধবার কোলাঘাটে এসে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

Advertisement

এদিন বৈঠকে পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান অধীরবাবু। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে তৃণমূল যে ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাতে এই জয় গুরুত্বপূর্ণ।’’ সাগরবাড় পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের দখলে। এ বার তা কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া ছিল তৃণমূল। সে জন্য ভোটের আগে নানা ভাবে তাদের নেতা-কর্মীদের হুমকি, ভয় দেখানো হচ্ছিল বসে কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ। এমনকী পুনর্নির্বাচনের দিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন পঞ্চায়েতে কংগ্রেস প্রার্থী রোশন আলি। ১৪ আসনের পঞ্চায়েতে কংগ্রেস-সিপিএম জোট পেয়েছে (৬+২) ৮টি আসন। তৃণমূল পেয়েছে ৬টি। কিন্তু জিতেও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে সংশয়ে কংগ্রেস। অভিযোগ, ভোট পরবর্তী চাপা আতঙ্ক এলাকায় আজও রয়েছে।

এদিন অধীরবাবুর সঙ্গে ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র-সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা। বৈঠকের পর অধীরবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সাগরবাড় এলাকায় পঞ্চায়েত জিতেও আতঙ্কে কাটাতে হচ্ছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের। পুলিশের ভয়ে অনেকে এলাকাছাড়া। আমরা সাগরবাড়ের নেতাকর্মীদের পাশে আছি।’’ ক্ষোভ প্রকাশ করে অধীরবাবু বলেন, ‘‘গোটা পূর্ব মেদিনীপুর-সহ সারা বাংলা তৃণমূল দখল করেও সহ্য হচ্ছে না। বিরোধীরা সামান্য কিছু আসন পেলেও তা সহ্য করতে পারছে না ওরা।’’ তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘ওরা সর্বভুক দল।’’ তিনি জানান, সাগরবাড়ে কংগ্রেস বহু অত্যাচার, নিপীড়ন সহ্য করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জিতে পঞ্চায়েত গঠন করতে চেয়েছিল। সেখানেও শাসকদলের সমস্যা। বৈঠকে জেলা ও ব্লক কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন, শেখ আনোয়ার আলি, পার্থ বটব্যাল, মহাদেব সেনগুপ্ত, দীপক পাত্র, শেখ সামিম প্রমুখ। তবে ছিলেন না পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সুরজিৎ মাইতি।

Advertisement

এ ব্যাপারে তিনি জানান, ‘‘কাজের সূত্রে তিনি মেদিনীপুরে আছেন। তাই বৈঠকে ছিলেন না। তবে প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।’’ প্রদেশ সভাপতির বৈঠকে তাঁরা লড়াইয়ের বাড়তি সাহস পাচ্ছেন কি না সে প্রশ্নের উত্তরে সুরজিৎবাবু বলেন, ‘‘উনি আসায় এখানে দলের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। তাঁরা নতুন করে লড়াইয়ের সাহস পেয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন