শিশু ও প্রসূতিদের জন্য রান্না করা হয়েছে ভেজাল তেলে। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দাঁতন ১ ব্লকে। বিষয়টি জানাজানির পর অবশ্য ওই ভোজ্য তেল ব্যবহার না-করার নির্দেশ জারি করেছে সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের জেলা দফতর।
জেলার প্রকল্প আধিকারিক অসিতবরণ মণ্ডল বলেন, “বিষটি উদ্বেগের। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও শিশু বা প্রসূতির অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়নি।’’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তেল সরবরাহকারী সংস্থার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিকে ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গত কয়েকদিন ধরে রান্নার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশু কল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ ঝর্না দাস বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির তরফে উন্নতমানের সর্ষের তেল সরবরাহ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
ঘটনার সূত্রপাত সপ্তাহখানেক আগে। কোটপাদা গ্রামের নীলিমা প্রধান, কোঁতাই গ্রামের দুর্গা মাইতিরা জানান, নভেম্বর মাস থেকে এই তেলেই রান্না করছেন তাঁরা। প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি। কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ লক্ষ্য করেন সর্ষের তেলের বোতলের তলায় সাদা রঙের কিছু জমাট হয়ে রয়েছে। তাঁদের দাবি, ‘‘খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কায় আমরা ওই তেলে আর রান্না করিনি। সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারকে জানাই। তাঁরা তেলের বোতলগুলি ব্যবহার না করে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।”
ওই প্রকল্পের সুপারভাইজার কৃষ্ণা বিশ্বাস বলেন, “চালের ক্ষেত্রে অতীতে অভিযোগ এলেও তেলের ক্ষেত্রে এমন হয়নি। গত অক্টোবরে ওই সংস্থা আমাদের কাছে যে নমুনা পেশ করেছিল তাতে আমরা ত্রুটি খুঁজে পাইনি।” দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকে এই মুহূর্তে ২৫১ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু রয়েছে। সব ক’টিতেই ওই তেলে এতদিন রান্না হয়েছে। কিন্তু বোতলের তলায় সাদা থকথকে ওই দ্রব্য জমাট বাঁধতে দেখা যায়নি। তবে তাঁদের ধারণা লাভ বেশি রাখতে ওই সংস্থা সরবরাহ করা সরষের তেলে পাম তেল বা ডালডা মিশিয়ে কেন্দ্রগুলিতে বিলি করেছেন। যা থেকে শিশুদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।