অবশেষে জট কাটল কাগজকলে। পাঁচদিন অচল থাকার পরে শনিবার চালু হচ্ছে মানিকপাড়ার বালাজি পেপার মিল। মিলের অচলাবস্থা কাটাতে শুক্রবার সব পক্ষকে আলোচনায় ডেকেছিলেন ঝাড়গ্রামের সহকারী শ্রম কমিশনার তাপসকুমার দত্ত। সিদ্ধান্ত হয়, চার শ্রমিককে সাময়িক সাসপেন্ড করে মিল চালু হবে। চার ঠিকা শ্রমিককে বহাল রাখার দাবিতে সওয়াল করেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের এক গোষ্ঠীর নেতারা।
মিলের ম্যানেজার শিবশঙ্কর নন্দ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই চার ঠিকা শ্রমিককে বরখাস্ত করে তবেই মিল চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকপক্ষ। ঠকের পরে সিদ্ধান্ত হয়, চার ঠিকা শ্রমিককে সাময়িক ‘সাসপেন্ড’ করে শনিবার থেকে মিলটি চালু হবে। মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর গোষ্ঠীর শ্রমিক নেতা গৌরাঙ্গ মাহাতো বলেন, “বৈঠকে আমরা কথা দিয়েছি, আর কোনও গোলমাল হবে না।” এই গোষ্ঠীরই চার শ্রমিক গত সোমবার কারখানার ম্যানেজারের ঘরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সাসপেন্ড হওয়া সোমনাথ মাহাতো, গোবিন্দ মাহাতো, কার্তিক মাহাতো ও বাবলু মান্নারা অবশ্য বলেন, “বেতন না পেয়ে ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। অথচ সে জন্য পুজোর মুখে আমাদের সাসপেন্ড করা হল।” ঝাড়গ্রামের সহকারী শ্রম কমিশনার তাপসকুমার দত্ত বলেন, “শনিবার থেকে মিল খুলবে। ওই চার ঠিকা শ্রমিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য নিয়োগকারী ঠিকাদার সংস্থাটি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।” মিলের ম্যানেজার শিবশঙ্কর নন্দ বলেন, “সমস্যা মিটেছে। তদন্তকারী ঠিকাদার সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ওই চার শ্রমিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নেওয়া হবে।”
মিছিল। সিপিএমের একাধিক সংগঠন বুধবার সন্ধ্যায় মিছিল করে মেদিনীপুরে। ছিলেন দলের শহর জোনাল সম্পাদক সারদা চক্রবর্তী। সাধারণ ধর্মঘটের আগে-পরে দলের কর্মীদের উপর পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে এই মিছিল পঞ্চুরচক, রাজাবাজার-সহ শহরের নানা এলাকা পরিক্রমা করে এই মিছিল।