শৌচাগারের ছবিটা এমনই। নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের শৌচাগার নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। হাসপাতালের পুরনো ভবনে থাকা প্রসূতি বিভাগের শৌচাগারগুলির নরককুণ্ড অবস্থা। শৌচাগারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগিনীরা। শুক্রবার এ ব্যাপারে ই-মেল করে হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন এক প্রসূতির আত্মীয়।
শেখ সাজেদ আলি নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, গত ৩০ জানুয়ারি তাঁর স্ত্রী মাসকুরা খাতুনের সিজার করে একটি পুত্রসন্তান হয়। ক্যাথিটার খুলে দেওয়ার পরে ওয়ার্ডের শৌচাগারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী।
একই অভিজ্ঞতা অন্যান্য চিকিৎসাধীনদেরও। সাধারণ দিনে তিন বার শৌচাগার পরিষ্কারের কথা থাকলেও, এক বারও হয় না বলে অভিযোগ সাজেদের। বৃহস্পতিবার থেকে ওয়ার্ড মাস্টারকে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। সাজেদ এরপর হাসপাতালের নার্স ও ডেপুটি সুপারের কাছে দফায় দফায় অভিযোগ করেন। তারপর শৌচাগার পরিষ্কার করা হয়।
কিন্তু অভিযোগ, তারপরও শৌচাগার পরিষ্কার করা হয়নি। রোগিনীরা শৌচাগারে ঢুকতেই পারছেন না। তিতিবিরক্ত সাজেদ স্বাস্থ্য দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেল করে অভিযোগ জানান।
হাসপাতালের সুপার মলয় আদক বলেন, “হাসপাতালের পুরনো ভবনে শৌচাগার সাফাইয়ের দায়িত্বে রয়েছেন ঠিকাদারের অধীনে থাকা অস্থায়ী কয়েকজন কর্মী। তাঁরা অনিয়মিত কাজ করছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”
মলয়বাবু জানান, প্রসূতি বিভাগে শৌচাগারের সোকপিঠের সমস্যাও রয়েছে। পূর্ত দফতর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।