পুজোর গন্ধ অক্ষয় তৃতীয়াতেই

হাতে এখনও মাস পাঁচেক। তবে দুর্গাপুজোর ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হয়ে গেল। শনিবার অক্ষয় তৃতীয়ার শুভদিনেই সামনে এল মেদিনীপুর শহরের গোলকুয়াচকের ‘সৃষ্টি’ সর্বজনীনের টিজার।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১২
Share:

হাতে এখনও মাস পাঁচেক। তবে দুর্গাপুজোর ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হয়ে গেল। শনিবার অক্ষয় তৃতীয়ার শুভদিনেই সামনে এল মেদিনীপুর শহরের গোলকুয়াচকের ‘সৃষ্টি’ সর্বজনীনের টিজার।

Advertisement

কলকাতার বড় পুজোয় আগাম টিজারের চল বহু দিনের। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগে থেকে দর্শনার্থী টানতে উদ্যোক্তারা টিজারে শহর ছেয়ে ফেলেন। তবে মেদিনীপুরের মতো মফস্‌সল শহরে পুজোর এত আগে টিজারের উদ্বোধন এই প্রথম। ‘তবু মনে রেখো’ টিজারটি তাই শহর জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। গোলকুয়াচকের সর্বজনীন পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা গৌতম মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, “অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটি খুব শুভ। এই শুভদিনেই আমরা টিজার নিয়ে দিলাম। এরপর জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। এ দিন টিজারের উদ্বোধন করেন সৌরভ বসু। সৌরভ মেদিনীপুরের এক সমবায় ব্যাঙ্কের অন্যতম কর্মকর্তা। সৌরভ বলছিলেন, “এখন তো চমকের যুগ। চমক না দিলে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ঠাকুর দেখতে আসবেন কেন!”

বছর কয়েক আগেও ‘গোপন বৈঠক’ করে পুজোর থিম তৈরি করতেন উদ্যোক্তারা। আগে থেকে সেই থিম অন্য কেউ পাছে জেনে যায়! ছবিটা এখন উল্টো। টিজার সামনে এনে পুজোর থিম আগেভাগে জানানোটাই এখন রীতি। ২০১৫ সালের পুজোয় তামাম রাজ্য চমকে গিয়েছিল ‘এত বড়! সত্যি!’ দেখে। যে টিজার শুধু কলকাতা নয়, জেলায় জেলায় ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল। পুজো উদ্যোক্তারা মানছেন, থিমপুজোর লড়াই এখন টিজারের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ‘ওয়াল’, পুরনো বাড়ির পলেস্তারা খসা দেওয়াল, তেমাথা-চৌমাথার মোড়, এমনকী এলাকার ক্লাবেও চলে টিজার যুদ্ধ। মেদিনীপুরের এক পুজো উদ্যোক্তার কথায়, “টিজার হিট মানেই পুজো হিট।”

Advertisement

‘তবু মনে রেখো’ থিমে কি পুরনো দিনের কিছু ফিরে আসবে? ‘সৃষ্টি’ সর্বজনীনের উদ্যোক্তার কথায়, “তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন