জমি বিবাদে খুনের নালিশ কেশপুরে

জমি বিবাদের জেরে এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ উঠল কেশপুরের আনন্দপুরে। মৃতের নাম পূর্ণচন্দ্র ঘোষ (৫৫)। অভিযোগের তির পূর্ণচন্দ্রবাবুর দাদা আনন্দমোহন ঘোষ ও তাঁর পরিবারের লোকেদের দিকে। ঘটনাটি সোমবার বিকেলের। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

জমি বিবাদের জেরে এক প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ উঠল কেশপুরের আনন্দপুরে। মৃতের নাম পূর্ণচন্দ্র ঘোষ (৫৫)। অভিযোগের তির পূর্ণচন্দ্রবাবুর দাদা আনন্দমোহন ঘোষ ও তাঁর পরিবারের লোকেদের দিকে। ঘটনাটি সোমবার বিকেলের। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। ঘটনায় এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। মৃতের পরিজনেরা জানিয়েছেন, রাতেই অভিযোগ দায়ের করবেন।

Advertisement

পূর্ণচন্দ্রবাবুর বড় ছেলে সমীরণ ঘোষের দাবি, “বাবাকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে।” সমীরণদের বাড়ি আনন্দপুরের করঙ্গাপোতায়। পূর্ণচন্দ্রবাবুর দুই ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বড় ছেলে সমীরণেরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সমীরণ পেশায় স্কুল শিক্ষক। ছোট ছেলে শ্যামল ভিন্ রাজ্যে এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। দিন কয়েক হল দেশের বাড়িতে এসেছেন। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে চাষের কাজ দেখভাল করতে খেতে গিয়েছিলেন পূর্ণচন্দ্রবাবু। বিকেলে খেত থেকে ফিরছিলেন। বাড়ির সামনেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পূর্ণচন্দ্রবাবুকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পূর্ণচন্দ্রবাবুরা চার ভাই। সমীরণের দাবি, তাঁর দুই জেঠু এই ঘটনায় জড়িত। তাঁর অভিযোগ মূলত পাঁচজনের নামে। এক জেঠু আনন্দমোহন ঘোষ, আনন্দমোহনবাবুর স্ত্রী পার্বতীদেবী, মেয়ে সমাপ্তি এবং আরেক জেঠু নন্দদুলাল ঘোষ, নন্দদুলালবাবুর স্ত্রী পুষ্পরানিদেবীর নামে। এ দিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে এসে সমীরণ বলেন, “সোমবার বিকেলে বাবা মাঠ থেকে ফিরছিলেন। তখনই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। জমি সংক্রান্ত বিবাদ থেকে এই খুন। আনন্দমোহন ঘোষরাই এই ঘটনায় জড়িত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement